তিনি ছিলেন প্রেমবিরোধী। কিন্তু গ্রীসের কোনো শিকারীই তাকে দৌড়ে হারাতে পারত না। শিকারী কন্যার নাম হার্প আটলান্টা। দৌড়বিদ হিসেবেও আটালান্টার বেশ সুনাম ছিল।
বলা ভালো- তিনি ছিলেন দক্ষ শিকারী। তিনি পণ করেছিলেন, তিনি কোনোদিনই বিয়ে করবেন না। তবে এই বিয়ের ব্যাপারে তিনি সবাইকে এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেন- আটালান্টাকে বিয়ে করার আগে যেকোনো পুরুষকে আটালান্টার সঙ্গে এক রেসে অংশ নিতে হবে। সেই রেসে যদি আটালান্টাকে তিনি হারাতে পারেন, তবেই তিনি আটালান্টার মন পাবেন। আর যদি না পারেন? পরিণতি হিসেবে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে!
প্রেমবিরোধী আটলান্টার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন কলোডোনিয়ান শিকারীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ শিকারী হিপোমিনিস। তিনি জানতেন হেরে গেলে মৃত্যুবরণ করতে হবে। তবু প্রেমে পড়া বলে কথা!
আটালান্টার মন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রস্তুত হন হিপোমিনিস। দৌড়ে অংশ নেন দুজন।
শুরু থেকেই দেখা যায়, দক্ষ আটালান্টা হিপোমিনিসকে ছাড়িয়ে আগে চলে যাচ্ছে। তবে কি এবার হিপোমিনিসকে মেনে নিতে হবে নির্ঘাত মৃত্যু? না, হিপোমিনিস এক বুদ্ধি আঁটেন। তিনি আটালান্টার সামনে একটা করে স্বর্ণের আপেল ছুড়ে দেন। আটালান্টা হিপোমিনিসের ফাঁদে পা দেন, সেই আপেল তার মনোযোগ নাড়িয়ে দেয়। আপেল এড়াতে গিয়ে তিনি হিপোমিনিসের পেছনে পড়ে যান।
তবে এরপরও যে তিনি হিপোমিনিসের আগে যেতে পারেননি এমনটাও নয়। তিনি পেরেছিলেন, তবে যতবারই তিনি আগে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, ততবারই হিপোমিনিস একইভাবে আটালান্টার পথে বাধা তৈরি করেছে। শেষ পর্যন্ত এর চেয়েও বড় বাঁধায় পড়তে হয়েছে আটালান্টাকে। দৌড়ে হেরেই বিয়ের মালা গলায় পরতে হয়েছে আটলান্টাকে। আর বাঁধা পরতে হয়েছে হিপোমিনিসের বাহুডোরে!
আলোকিত সিরাজগঞ্জ