সংগৃহীত
চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সারপ্রাইজ প্যাকেজ বলা চলে অ্যাস্টন ভিলাকে। স্প্যানিশ কোচ উনাই এমেরির হাত ধরে দারুণ ফুটবল উপহার দিচ্ছে দলটা। গোলবারের নিচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, স্ট্রাইকার হিসেবে ওলি ওয়াটকিন্স, আর মাঝমাঠে ডগলাস লুইজ-ইউরি টিলেমেন্সদের নিয়ে দারুণ এক ব্যালেন্সড দলই করেছে ভিলা।
তবে ভিলা ঠিক কতখানি অসাধারণ তা প্রমাণের মঞ্চ ছিল গতকাল। নিজেদের হোম ভেন্যুতে ম্যানচেস্টার সিটিকে আতিথ্য দেয় তারা। সেখানেই রীতিমত নাস্তানাবুদ হয়েছে সিটিজেন্সদের কৌশল। অন্যদিকে দিনের আরেক ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল।
অ্যাস্টন ভিলা ১ - ০ ম্যানচেস্টার সিটি
ভিলা পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল স্বাগতিক অ্যাস্টন ভিলার। ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মাঝেই অন্তত দুই গোল পেয়ে যেতে পারতো উনাই এমেরির শিষ্যরা। তবে সিটি গোলরক্ষক এডারসন মোয়ারেসের কল্যাণে ম্যাচে টিকে থাকে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ২৩ আর ৩১ মিনিটেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ভিলার সামনে। তবে সেটাও হয়নি এডারসনের দৃঢ়তায়।
তবে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে ঠিকই গোল পেয়ে যায় ভিলা। ম্যাকগিনের ক্রসে হেড করে ঠিকই বল জালে জড়ান ওয়াটকিন্স। তবে রেফারি চেক করে গোল বাতিল করেন। ম্যাকগিন পাস দেওয়ার আগেই বল গোললাইন পার করেছিল। প্রথমার্ধে খেলা এতটাই একপেশে ছিল, ম্যানসিটি কেবল দুবারই শট নিয়েছিল ভিলার গোলে। আর বিপরীতে অ্যাস্টন ভিলা নিয়েছিল ১৩ শট।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সেই চিত্র বদলায়নি। বল পজেশন কিছুটা বাড়লেও আক্রমণে সুবিধাই করতে পারেনি সিটিজেন্সরা। বরং ভিলার আক্রমণের সামনে বারবার খাবি খেতে হয়েছে রুবেন দিয়াজ-জন স্টোনসকে। ম্যাচে ভিলার একমাত্র গোলেও কিছুটা অবদান ছিল দিয়াজের। লিওন বেইলির সাধারণ শট ব্লক করতে চেয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার। তবে দিয়াজের পায়ে লেগে বল দিক পরিবর্তন করলে, তা চলে যায় সিটিজেন্সদের জালে।
এরপর অবশ্য আর কিছুই করার ছিল না হালান্ড-আলভারেজদের। পুরো ম্যাচেই নিজেদের খোলস থেকে বেরুতে পারেননি ম্যানসিটির তারকারা। টানা দুই ড্রয়ের পর এই হারের ফলে ম্যানসিটি নেমে গিয়েছে টেবিলের ৪ নম্বর স্থানে। আর অ্যাস্টন ভিলা উঠে এসেছে টেবিলের তৃতীয় স্থানে।
লিভারপুল ২ - ০ শেফিল্ড ইউনাইটেড
শেফিল্ডের মাঠে খেলায় খুব একটা পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি ইউর্গেন ক্লপ শিষ্যরা। পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়েছে মার্সেসাইডের ক্লাবটি। ৭৬ শতাংশ বল দখল আর গোলমুখে ১৫ শট বলে দেয় ম্যাচের চিত্র। লিভারপুলের ৮ শটের বিপরীতে শেফিল্ড গোলমুখে শট নিয়েছে মোটে ১ বার।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে অলরেডরা। নিজেদের পায়ে বল রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রেখেছিল। যদিও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের কর্নার থেকে সরাসরি ভলিতে বল জালে জড়ান দলের অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক। ম্যাচের পরের গোল এসেছে একেবারে শেষ সময়ে। ৯৪ মিনিটে ডারউইন নুনিয়েজের ক্রস থেকে বল জালে জড়ান ডমিনিক সবোস্লাই।
পয়েন্ট টেবিলে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন লিভারপুল আছে দুইয়ে। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আর্সেনাল। অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৩২ আর সিটিজেন্সদের পয়েন্ট ৩০।
সূত্র: DHAKA POST