• শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৪ ১৪৩০

  • || ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ভুট্টা চাষে কলেজ ছাত্রী শারমিনের সাফল্য!

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৩  

উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় থেকেই টিউশনি করেন। তার কিছুদিন পর করেছেন ধানের আবাদ। সাথে সাথে অনলাইনে করেছেন পোশাকের ব্যবসা। এছাড়াও তিনি গত বছরের নভেম্বর মাসে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীন পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে যোগ দিয়েছেন। এখানেই থেমে থাকেননি এবছর করেছেন ভুট্টার চাষ। বলছি, শেরপুরের নারী উদ্যোক্তা শারমিন সুলতানার কথা। তিনি তার বহুমূখী প্রতিভা ও ইচ্ছা শক্তি দিয়ে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। তার এমন সফলতায় অনেক বেকার যুবক যুবতিরা আত্মনির্ভরশীল হতে অনুপ্রেণীত হয়েছেন।

জানা যায়, নারী উদ্যোক্তা শারমিন সুলতানা শেরপুর সদর উপজেলার নলবাইদ গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা রফিকুল ইসলাম একজন পল্লী চিকিৎসক। শারমিন বর্তমানে গণিত বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। ছোট বেলা থেকেই পারিবারিক আর্থিক অনটন দেখেছেন। বিভিন্ন সময় নানা চেষ্টার মাধ্যমে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। ফলে ২০২০ সালে তিনি তার গ্রামে আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। তাতে লাভের পরিমানে তেমন ছিলনা। তারপর অনলাইনে পোশাক বিক্রির মাধ্যমে চেষ্টা করেন। তাতেও তেমন লাভ হয়নি। তবে তিনি কখনো হাল ছাড়েননি।

তারপর তিনি তার টিউশনির টাকা দিয়ে পরিবারে সহযোগিতা করেন। পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে চাকরির করার সময় বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। গ্রামের অনেক জমি পতিত পড়ে থাকতে দেখে তিনি কিছু করার পরিকল্পনা করেন। তারপর তিন কৃষকের কাছ থেকে সাত বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহানারা বেগমের পরামর্শে ভুট্টার আবাদ শুরু করেন।

নারী উদ্যোক্তা শারমিন বলেন, জমি গুলো পড়ে ছিল। সেখানে কিছুই চাষ করছিলোনা। তাই আমি সেই জমিগুলো চুক্তি ভিত্তিতে নেই। এই ৭ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা হিসেবে ৪ কেজি ভুট্টাবীজ ও ৬০ কেজি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার পেয়েছি। এছাড়ার এই জমিতে চাষাবাদে আমি ১ লাখ টাকা খরচ করেছি।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য ফসল ও ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হয়। তাই এর চাষে আগ্রহী হয়েছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন পাবো। এরই মধ্যে লাভ-ক্ষতির হিসেব করে ফেলেছি। বিঘাপ্রতি গড়ে ৩০ মণ করে ফলন পেলে ৭ বিঘায় ২১০ মণ ভুট্টা পাবো। প্রতিমণ ভুট্টা ১২০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পেতে পারি। আশা করছি বাজারদর ভালো থাকবে আর আমি লাভবান হতে পারবো।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, দেশে ব্যাপক আকারে খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় সব খামারেই ফিড খাওয়ানো হয়। এই ফিড তৈরীতে ভুট্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফলে চাষিরা ভুট্টা ভাল দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। এছাড়াও আমরা সকল ভুট্টা চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ