মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নরসিংদীতে বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ

নরসিংদীতে বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ

নরসিংদীতে ক্রমেই বাড়ছে বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষাবাদ। শিবপুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন চাষ করে সফল হচ্ছেন অনেকেই। ভিনদেশি এই ফল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বেকার যুবক ও কৃষকরা। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া এই ফল চাষের উপযোগী বলে জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খৈনকুট এলাকায় ২০১৮ সালে মাত্র তিন বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন রাশেদ আহমেদ এবং তার চার বন্ধু। পরবর্তী দুই বছরে উৎপাদিত ফলের লাভ দিয়েই জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেন ছয় বিঘায়। জমি জুড়ে ফলন ধরেছে লাল-সবুজের সু-স্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল। প্রতিবার দেড় থেকে ২ মেট্রিক টন পরিমাণে মাসে দুইবার করে অন্তত ছয় মাস চলে ফল নামানো ও বিক্রির কাজ। এতে অন্তত ৩৫ লাখ টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

এমন সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক সীমিত পরিসরে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন। লাভ ভালো হওয়ায় খুশি তারা। অনেকেই আসছেন বাগান থেকে ফল কিনতে সেই সঙ্গে আগ্রহ দেখাচ্ছেন ড্রাগন চাষের। আবহাওয়া ও মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী জানিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. সাইদুর রহমান জানান, এই ফল চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ নিয়মিত তদারকি করছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ড্রাগনের চাষাবাদ হয়েছে ৯ হেক্টর জমিতে। প্রতিটি ড্রাগন গাছ একটানা ২৫ বছর ধরে ফল দিয়ে থাকে। এক একটি গাছ থেকে বছরে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার ফল ও চারা বিক্রি সম্ভব বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি আড়াইশ' থেকে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই ভিনদেশি ফল।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ