• মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১১ ১৪৩০

  • || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

১ গাছে ৭ রঙের মরিচ, চাষে আগ্রহী হচ্ছেন সৌখিন কৃষক

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২  

এক গাছেই ধরছে সাত রঙের মরিচ। স্বাদে আর গন্ধে স্বাভাবিক মরিচের মতো হলেও, বাহারি এ মরিচ গাছ বেশ দৃষ্টিনন্দন। লালমনিরহাটের সৌখিন কৃষকরা তাই আগ্রহী হচ্ছেন বারি অর্নামেন্টাল চিলি-১ জাতের এ মরিচ চাষের প্রতি।

লালমনিরহাট পৌরসভার বানভাসা এলাকায় মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র থেকে এ জাতের মরিচের বীজ ও চারা বিনামূল্যে সংগ্রহ করছেন তারা। তবে, এখনো বাণিজ্যিকভাবে এ মরিচের চাষ শুরু হয়নি। বর্তমানে শুধু ছাদ কৃষির জন্যই উপযোগী মরিচের এ জাতটি। এর চারা লাগাতে হয় টবে।

লালমনিরহাট মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক আহমেদ জানান, পাঁচ বছরের গবেষণা শেষে গত বছর থেকে এ জাতের মরিচের চারা ও বীজ আগ্রহী সৌখিন কৃষকের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এ মরিচের বীজ বপন করতে হয়। ৪০ দিন পর চারা স্বাভাবিক হলে তা টবে লাগাতে হয়।

টবে চারা লাগানোর ৬০-৬৫ দিন পর মরিচ পাওয়া যায়। একটি গাছে ৭০-৮০টি মরিচ পাওয়া যায় এবং এক বছরে প্রায় ৭-৮ বার ফলন পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

ড. মোস্তাক বলেন, ‘সঠিকভাবে যত্ন করলে এ জাতের এক গাছে সাত রঙের মরিচ হয়। তবে, যত্নের ঘাটতি থাকলে ৩-৪ রঙের মরিচ পাওয়া যায়। গাছগুলোতে মরিচ আসলে দেখতে বাহারি লাগে। তবে, স্বাদে-গন্ধে এটি স্বাভাবিক মরিচের মতোই।’

লালমনিরহাট শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার সৌখিন কৃষক কলেজ শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমি মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এ জাতের মরিচের ছয়টি চারা এনে টবে লাগিয়েছি। ফলনও পাচ্ছি। একই গাছে বিভিন্ন রঙের মরিচ দেখতে ভালো লাগে।’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ জানান, এ জাতের মরিচের ফলন পেতে বিশেষ যত্ন নিতে হয়।‘বাজারে যখন মরিচের সংকট সৃষ্টি হয়, তখন এ জাতের মরিচ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে’, বলেন তিনি।

তবে, এ মুহূর্তে এ জাতের মরিচ বাণিজ্যিকভাবে আবাদের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে ড. মোস্তাক আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আপাতত আমরা অর্নামেন্টাল চিলি জাতের মরিচটি টবে চাষ করে সৌখিন কৃষকদের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখছি।’দেশের বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁ ও দেশের বাইরে এ জাতের মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ