সিরাজগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন শুরু হয়েছে। বেকারত্ব নিরসনে নতুন দিক উন্মোচন করতে যাচ্ছে টার্কি পালন। লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে টার্কি পালনেই ঝুঁকছেন অনেক বেকার যুবক।
সিরাজগঞ্জ সদরসহ প্রত্যেক উপজেলা মিলে ছোট-বড় প্রায় ১২৫টি খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় ৫০ হাজার টার্কি পালন করছেন খামারিরা। টার্কির বাচ্চা পালন করে মাত্র তিন মাসের মাথায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করে লাভোবান হচ্ছেন খামারিরা। এতে আর্থিক সাফল্যের পাশাপাশি মাংসের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।
টার্কির খাবার হিসেবে গমের ভুষি, শাকসবজি ও পোল্ট্রি ফিড দেয়া হয়। এদের খাদ্য খরচ কম। তাছাড়া টার্কির মারা যাওয়ার হারও খুব সামান্য। টার্কি প্রায় বারো মাসই ডিম দেয়। টার্কির মাংসও সুস্বাদু।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কাটাগাড়ি গ্রামের ৭০ বছর বয়সী ফজর আলী আকন্দ টার্কি পালনের মাধ্যমে দারিদ্র্যকে জয় করেছেন। মাত্র ৩৬ হাজার টাকা মূলধনে ১২টি দিয়ে শুরু করে ৬ মাসের ব্যবধানে প্রায় ১০০টির মতো টার্কি রয়েছে তার। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষাধিক টাকা।
টার্কি খামারি ফজর আলী জানান, কৃত্রিম খাবারের তুলনায় প্রাকৃতিক ঘাস জাতীয় খাবারই টার্কির জন্য উপাদেয়। তাদের এলাকার খোলা মাঠগুলো সবুজ ঘাসে ভরপুর। তাই অন্যান্য এলাকার তুলনায় টার্কি পালনে খরচও কম হচ্ছে তার।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ জানান, টার্কির মাংস অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি লালন-পালনে খরচ যেমন কম তেমনি মাংসের গুণগত মানও অনেক ভালো
আলোকিত সিরাজগঞ্জ