সেরা ১০ তরুণ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশি অনন্যা
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

তনিমা তাসনিম অনন্যার জন্ম বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব কেটেছে রাজধানী ঢাকায়। গৃহিণী মায়ের অধিকাংশ সময় কাটত রান্নাঘরে। পাঁচ বছর বয়সী তনিমাকে গল্পের ছলে মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান অবতরণ সম্পর্কে বলেছিলেন তার মা। মায়ের মুখে শোনা গল্পে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে অনন্যা। জ্যোতির্বিদ্যায় পড়াশোনার চিন্তা ভর করে তার মাথায়।
ঠিক দুই যুগ পর রহস্যেঘেরা ব্লাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের বেড়ে ওঠা এবং পরিবেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকে দেখালেন তিনি। আর তাতেই বাজিমাত! বিশ্বের সেরা ১০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তনিমা তাসনীম অনন্যা। ২৯ বছর বয়সী অনন্যা এখন সম্ভাবনামনায় জ্যোর্তিপদার্থবিদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সায়েন্স নিউজ অনন্যার এ সাফল্যের খবর প্রকাশ করেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘এসএন টেন: সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ এর তালিকার শুরুতেই অনন্যাকে স্থান দিয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জনপ্রিয় গণমাধ্যমটি। যেখানে অনন্যার কাজকে ‘অসাধারণ গবেষণা’ বলে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছর এ তালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেকেই ৪০ বা এর চেয়েও কম বয়সী। তারা প্রত্যেকেই নোবেল বিজীয়দের দ্বারা মনোনীত হয়েছেন।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি অনন্যা সবচেয়ে ভারি কৃষ্ণগহ্বর আঁকতে সক্ষম হয়েছেন। সচিত্র গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, মহাবিশ্বে কোথায় কীভাবে কৃষ্ণগহ্বর বেড়ে উঠছে এবং কীভাবে তারা পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এটি সম্পন্ন করেছেন।
অনন্যা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে আগ্রহের কারণে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে তেমন পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহের কথা পরিবারকে জানান। প্রথমে কোনোভাবেই বিদেশে পড়তে যেতে দিতে রাজি ছিল না তার পরিবার। তবে অনন্যার আগ্রহের কাছে হার মেনেছে তার বাবা-মা।
২০০৬ সালে অনন্যার বয়স যখন ১৫ ছুঁই ছুঁই, তখনি ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন কোর্স শুরু করেন তিনি। লক্ষ্য ছিল ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে পাড়ি জমানোর। সেই মিশনেও বাজিমাত করে অনন্যা। সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে প্রথম হন তিনি। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়েও। ফলে সহজেই স্কলারশিপে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ মেলে। এরপরই ভিজিটিং স্টুডেন্ট হিসেবে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে যান তিনি।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ব্রায়ান মাওর কলেজ থেকে স্নাতক করেন অনন্যা। পরে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পিএইচডি করেন। তনিমা বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের একটি পোস্টডক্টোরালের গবেষণা সহযোগী।
গবেষণার পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শদাতা নেটওয়ার্ক, ‘ওয়াই-স্টেম’ এর সহ-প্রতিষ্ঠা হিসেবে কাজ করছেন। যুক্ত ছিলেন নাসা ও সার্নের বেশ কিছু প্রজেক্টের সাথেও। বিজ্ঞান নিয়ে যখনই যেখানে তিনি সুযোগ পেয়েছেন, লুফে নিয়েছেন।
তবে ব্ল্যাক হোল তার অন্যতম আগ্রহের বিষয়। সায়েন্স নিউজকে অনন্যা বলেন, আমার মা স্বল্প শিক্ষিত ছিলেন। তবে খবরের কাগজ পড়ে যেটুকু বুঝতেন, রান্নাঘরে আমাকে তা গল্প করে শোনাতেন। আমি তখন বুঝতে পারি মহাবিশ্বে আরও অন্যান্য জগত রয়েছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমি জ্যোর্তিবিজ্ঞান পড়তে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। তবে আমার দেশে এ ধরনের সুযোগ ছিল না বললেই চলে। এজন্য আমাকে পরিবার ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বাবা-মাকে প্রতিজ্ঞা করে এসেছিলাম- বিদেশে গিয়ে কোনো পার্টিতে যাব না এবং মদপানও করব না। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে অল-উইমেন স্কুলে ভর্তি হওয়ার শর্তজুড়ে দেয়া হয়। আমি সব মেনে দেশ ছেড়ে আসি। কারণ আমি শুধু পড়াশোনা ও গবেষণার চিন্তায় মগ্ন থাকতাম। অন্যদিকে আমার খেয়াল ছিল না।
তনিমা তাসনিম অনন্যার মতে মহাজগতের কাঠামো বুঝতে সবার আগে ব্লাকহোলগুলোকে জানতে হবে। তার সচিত্র মডেলে তিনি মহাজাগতিক দূরত্বের ব্লাকহোলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করে দেখিয়েছেন।
অন্যন্যা বলেছেন, ব্লাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর গ্যালাক্সিতে শক্তি যোগালে তারার সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও এটি গ্যাসও ছড়িয়ে দেয়।

- শান্তির বার্তা প্রচারে সালামের গুরুত্ব
- হৃদয় কাঁপানো পোশাকে দুবাই তোলপাড় করেছেন নোরা ফাতেহি
- চৌহালীতে আলহাজ আ: মজিদ মন্ডলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া
- উল্লাপাড়ায় আবাসন প্রকল্পে ঠাঁই হলো ৩০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের
- বিমানের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
- শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
- বাড়ি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা গৃহহীনদের
- ঢাকা-সিলেট চার লেন কাজ শুরু জুলাইয়ে
- ধীরাশ্রমে হচ্ছে দেশের বৃহত্তম কনটেইনার ডিপো
- শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা!
- হাসপাতালে ১০ পরীক্ষার ফি নির্ধারণ
- ১৮ ফসলের ১১২ জাত আবিষ্কার করেছে বিনা
- আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষাকে
- ২৭ জানুয়ারি করোনার প্রথম টিকা পাবেন কুর্মিটোলার নার্স
- ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ: মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী
- ৮৫ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য রফতানির টার্গেট
- তাড়াশে শ্রমিকলীগের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
- বেলকুচিতে এক রাতে দুটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
- সিরাজগঞ্জে ঢাকা ম্যারাথনের রেজিষ্টেশন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন
- উল্লাপাড়ায় সরকারি জলাশয় পূনঃখনন কাজের উদ্ধোধন
- ঢামেকে টিকা কার্যক্রম শুরু ২৮ জানুয়ারি
- ‘সৌন্দর্যের’ কাঠবাদামে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা
- ধানচাষে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার
- ২৭ স্ত্রী, ১৫০ সন্তানের বাবা ৬৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ
- নাসায় ইন্টার্নশিপের তৃতীয় দিনেই নতুন গ্রহ আবিষ্কার করলো কিশোর
- প্রতিদিন দুটির বেশি আপেল খেলে যা হয়
- মুজিববর্ষে ঘর উপহার: আনন্দ ও কৃতজ্ঞতায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
- তাড়াশে র্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী আটক
- শাহজাদপুরে পুলিশি অভিযানে ইয়াবাসহ কারবারি আটক
- বাস্তচ্যুতদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রয়োজন
- কমানো হলো চালের আমদানি শুল্ক
- `একটি সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে`
- যেসব ভুল কাজ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়
- পদ্মা সেতুর কাজে ইচ্ছাকৃত দেরি করলে ঠিকাদারের জরিমানা
- প্রভুর সান্নিধ্যের শ্রেষ্ঠ ইবাদত সালাত
- পরকালে মানুষ যে ৯টি আক্ষেপ করবে
- উল্লাপাড়ায় মুজিববর্ষে ঘর পাবে আরও ৪২ টি অসহায় দুস্থ পরিবার
- বাংলাদেশে পড়তে আসতে পারে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা: রাষ্ট্রপতি
- সাড়ে ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- যে ৪ আমল থেকে কখনো বিরত থাকা যাবে না
- চৌহালীতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ১০টি ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায়
- বাবলা গাছের উপকারিতা
- মেগা প্রকল্প:
কর্ণফুলী টানেলের অগ্রগতি ৬১ শতাংশ - রায়গঞ্জে দু:স্থ প্রতিবন্ধিদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- মেসির পর পেলেকে পেছনে ফেললেন রোনালদোও
- মুখের কালো দাগ দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে
- জুমার দিনে এই দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ
- উল্লাপাড়ায় চার ছিনতাইকারী আটক
- যে ৭ কাজ মানুষকে ধ্বংস করে
- ঘরোয়া উপায়ে সারিয়ে তুলুন চোখের অঞ্জনি
