বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মার্চের ভাষণ প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী

৭ মার্চের ভাষণ প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তান কীভাবে চলবে, জাতির পিতা তাঁর সব দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সব থেকে ঐতিহাসিক ব্যাপার হলো, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে যে ঘোষণা দিতেন, সে নির্দেশনাতেই দেশ চলত। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে ট্রেজারি চালান—সবকিছু বন্ধ, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তখন ওই ৩২ নম্বরে।

কেমন ছিল সেই নিয়ন্ত্রণ? এর উদাহরণ হিসেবে তিনি স্মৃতি রোমন্থনে বলেন, সে সময় ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে এলে কোনো বাবুর্চি বাবুর্চিখানায় কাজ করতে চাননি। বাধ্য হয়ে তখন প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে টেলিফোন আসে, ৩২ নম্বর থেকে বলে দেওয়া হয় রান্নাঘরে যেন বাবুর্চিরা কাজ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীতে আর কোথাও হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। কেননা, জাতির পিতা যা যা নির্দেশনা দিয়েছেন, তা দেশের মানুষ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা জনগণের ম্যান্ডেট (সমর্থন) পেয়ে জনগণের নেতায় পরিণত হন এবং তাঁর কথাই এ দেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সমর্থনের ক্ষেত্রে কে আক্রমণকারী হবে, আর কে আক্রান্ত হবে—সেটা একটা বড় ইস্যু হওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনটা ঝুঁকিতে ফেলে বাংলাদেশের মানুষ যেন স্বাধীনতা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই রণকৌশল হাতে নেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক যে মুহূর্তে পাকিস্তানি শাসকেরা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, সেই মুহূর্তেই তিনি তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণাটা প্রচার করা শুরু করালেন এবং যেহেতু বাঙালিরা পাকিস্তানি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, সেহেতু পরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি। তখন বিশ্বজনমত তাঁর পক্ষে (জাতির পিতার)।’

আলোকিত সিরাজগঞ্জ