বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জের যমুনায় আগামী কাল ২৯শে নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সিরাজগঞ্জের যমুনায় আগামী কাল ২৯শে নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু। এর মাধ্যমে সহজেই পারাপার হতে পারবে উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনগুলো। স্থানীয়দের ধারণা, রেল সেতু নির্মাণ করা হলে কমবে যাত্রীদের ভোগান্তি; প্রসার ঘটবে সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্যের। আর রেলমন্ত্রী বলছেন, এই সেতু রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হবে। আগামীকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

রেল বিভাগ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। এ মহাসড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে প্রতিদিন বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, খুলনা, কুষ্টিয়াসহ উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার পরিবহন চলাচল করে। ফলে এ গোলচত্বর জুড়ে প্রায়ই লেগে থাকে যানজট। যার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। ভোগান্তি কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নির্মাণ করতে যাচ্ছে আন্তজার্তিক মানের ইন্টারচেঞ্জ। অন্যদিকে রেল বিভাগ নির্মাণ করবে আলাদা বঙ্গবন্ধু রেল সেতু। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করার দাবি সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসলেও অতীতে তেমন সাড়া মেলেনি। কিন্তু বর্তমান রেলমন্ত্রীর ইচ্ছা ও প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জবাসী।

বাংলাদেশ রেল বিভাগের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারসাম্যপূর্ণ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ডেডিকেটেড ডাবল লেনের রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি নির্মাণ করা হলে দুটো ট্রেন একসঙ্গে যেতে পারবে এবং ১শ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে।

সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা নব কুমার কর্মকার জানান, এই রেল সেতু হলে একদিকে সময় সাশ্রয় হবে এবং ব্যবসা বাণিজ্যে চাঞ্চল্য ফিরে আসবে। যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ এই রেল সেতু হওয়ার পর ক্রসিং ছাড়াই সেতুর ওপর দিয়ে একশ কিলোমিটার বেগে একই সঙ্গে দুটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি সব ধরনের মালামাল পরিবহন করতে পারবে ।

সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সিরাজগঞ্জে রেল সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি সভায় জানান, আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু জাপানের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি জাইকা বাস্তবায়ন করছে। টেন্ডারসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, আর জাইকা দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করা হবে এবং ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ