২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রতিযোগিতাটির হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পথে শেষ ষোলোয় পিএসজিকে দুই লেগেই হারিয়েছিল রিয়াল। এবার হলো তিক্ত অভিজ্ঞতা। দারুণ এক জয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
নেইমারের নিষেধাজ্ঞা, কিলিয়ান এমবাপে ও এদিনসন কাভানির চোট-আক্রমণভাগের মূল তিন জনকে ছাড়া মাঠে নামা পিএসজিকে প্রথমার্ধেই চালকের আসনে বসিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব দি মারিয়ার।
ম্যাচের শুরুতেই ছন্নছাড়া ছিল পিএসজি। আর এই সুযোগে তাদের উপর চাপ বাড়ায় রিয়াল। কিন্তু ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ওঠা গোছানো আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় ফরাসি ক্লাবটি। হুয়ান বের্নাতের পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে পোস্ট ঘেঁষে বল লক্ষ্যে পাঠান অরক্ষিত দি মারিয়া।
এগিয়ে গিয়ে শুরুর ছন্দ ফিরে যায় টুখেলের শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে রিয়ালের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। দ্বিতীয় সাফল্যও পেয়ে যায় দ্রুত। ৩৩তম মিনিটে সেনেগালের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গেয়ির পাস ডি-বক্সের বাইরে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার দি মারিয়া।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে যেন তেতে ওঠে রিয়াল। পরের মিনিটেই দুর্দান্ত এক ভলিতে জালে বল পাঠান গ্যারেথ বেল; তবে ভিএআরের সাহায্যে গোল দেননি রেফারি। শট নেয়ার আগ মুহূর্তে তার হাতে বল লেগেছিল।
বিরতির আগে আরো দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড। কিন্তু পারেননি ব্যবধান কমাতে।
৬১তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারতো পিএসজি। দি মারিয়ার পাস পেয়ে পাবলো সারাবিয়ার প্রথম ছোঁয়ায় নেয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
৭৮তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস ছোট ডি-বক্সের বাইরে পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি করিম বেনজেমা। উল্টো যোগ করা সময়ে তারা খেয়ে বসে আরেকটি গোল। পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে বের্নাতের সঙ্গে একবার বল দেয়া নেয়া করে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার মুনিয়ে।
এই গ্রুপের আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামের দল ক্লাব ব্রুজের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে তুরস্কের গালাতাসারাই।