শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে যা করবেন

বন্যায় সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে যা করবেন

চলছে বর্ষাকাল। অধিক বর্ষণের কারণে দেশে দেখা দিয়েছে বন্যা। বর্তমানে সিলেটসহ দেশের কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার সময় পানিবাহিত রোগব্যাধির বিস্তার বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে সাপে কাটার ভয়। কারণ বন্যার সময়ে চারিদিকে পানি থাকায় সাপ ঘরে আশ্রয় নিতে পারে। যার ফলে বাড়ে ঝুঁকি। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সাপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সাপের প্রবেশ আটকাতে কী করবেন-

>> সাপ তাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী ও পরিচিত পদ্ধতি হলো কার্বলিক অ্যাসিডের ব্যবহার। ঘরের চারপাশে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিলে সাপ প্রবেশ করতে পারে না।

>> কার্বলিক অ্যাসিড পাওয়া না গেলে এর বিকল্প হিসেবে লাল রঙের লাইফবয় সাবান টুকরো টুকরো করে কেটে ঘরের চারদিকে ছিটিয়ে রাখুন। লাইফবয় সাবানে কার্বক্সালিক অ্যাসিডি/কার্বনিল অ্যাসিড থাকায় সাপ কাছে আসে না।

>> কিংবা সালফারের গুঁড়া বাড়ির চারপাশে ছিটিয়ে দিন। সালফারের গুঁড়া লাগলে সাপের চামড়ায় জ্বালা করে ও সাপ দূরে সরে যায়।

>> সাপ তাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়গুলোর মধ্যে আরেকটি কার্যকর উপায় হলো রসুন। রসুন বেটে নিয়ে তার সঙ্গে যেকোনো তেল মিশিয়ে একদিন রেখে দিন। এই মিশ্রণ ঘরের চারপাশে ভালো করে স্প্রে করে দিলে সাপ প্রবেশ করে না।

>> সাপের কামড় থেকে বাঁচতে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সঙ্গে জুতা পড়ার সময় তা ভালোভাবে দেখে পড়তে হবে। না দেখে অন্ধকারচ্ছন্ন যে কোনো জায়গায় হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

>> সাপ দূরে রাখতে বাড়ির চারপাশ ভালো করে পরিষ্কার রাখুন। বর্ষায় বাড়ির চারপাশে যাতে ঝোপজঙ্গল না গজিয়ে যায় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

>> বাড়ির আশেপাশে যেকোনো প্রকার ছোট-বড় গর্ত থাকলে তা বন্ধ করে দিন। সাপ নিরিবিলি স্থান পেলে সেখানে আশ্রয় নিতে পারে, তাই ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র মাটি থেকে একটু উঁচুতে রাখুন। হাড়ি-পাতিল কিংবা মাটির কলস জাতীয় জিনিস খোলা না রেখে ঢাকনা ব্যবহার করুন। 

>> ঘরে ধান-চাল মজুত থাকলে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা লাগবে। কারণ ধান-চাল খাবার জন্য ঘরে ইঁদুর চলে আসে। ইঁদুর শিকারের লোভে সাপও ঘরের মধ্যে চলে আসে। তাই বসতভিটা ইঁদুর এবং ব্যাঙ মুক্ত রাখতে হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই