সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শহরের রানীগ্রামে ৫০ বিঘা জায়গাজুড়ে এ ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার জুম্মা নামাজের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সিরাজগঞ্জের তাবলীগ জামায়াতের (নিজাম-সাদ অনুসারী) উদ্যোগে আয়োজিত এ ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে।
এ ইজতেমায় মূলত সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। মেহমান হিসাবে রয়েছেন পাশ্ববর্তি জেলা পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগা, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বিরা। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো ও শ্রীলংকা থেকে আসা কয়েকটি তাবলীগ জামায়াতের সদস্যরা এই ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। প্রথম দিনে কাকরাইল মসজিদের জিম্মাদার সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও মুফতি ওসামা ইসলাম বয়ান করেন।
রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য ডা. এস এম নাজিম উদ্দিন জুয়েল জানান, যমুনা নদীতীরে নিরিবিলি পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার জন্য আলাদা আলাদা স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও ওজু খানার ব্যবস্থা রয়েছে।
একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কন্টোল রুম ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, পুরো ইজতেমা এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে ময়দানে স্থাপিত পুলিশ কন্টোল রুম থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া পোশাক পরিহিত এবং সাদা পোশাকেও নিরাপত্তায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
যাতায়াতের রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করছেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ