খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ মলা মাছের বাম্পার উৎপাদনের সাথে সাথে দাম পাচ্ছেন মৎস্য চাষীরা। ডাক্তাররা অনেক রোগীকে মলা মাছ খেতে পরামর্শ দেন।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া মলা মাছ দেশের খাল-বিল কমে যাওয়ায় এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি মলা মাছ এখন বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরু হওয়ার জনগন আবারও মলা মাছের স্বাদ নিতে পারছে।
মলা ঢেলা মাছ চাষী মোঃ মনিরুজ্জামান সরদার ও মোঃ আজহারুল ইসলাম জানান, তারা মলা ঢেলা মাছের চাষ করে চলতি বছরে অর্ধ লক্ষ টাকার মলা মাছ বিক্রি করেছেন। উন্নত প্রযুক্তি নিয়মে আগামীতে আরো বেশি করে মাল মাছের চাষ করবেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় মলা ঢেলা মাছ চাষ করে ডুমুরিয়া উপজেলার অনেক মৎস্য চাষীরা লাভবান হয়েছেন। তবে যদি পুকুর অথবা ঘের বেশি পুরাতন হয় এবং পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে সেক্ষেত্রে শতাংশ (পুকুরের জমির মাপ) প্রতি ১ কেজি পরিমাণ চুন দেয়া ভালো। বিষটোপ প্রয়োগের ষষ্ঠ দিনে হাস পোকা মারার জন্য সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে পুকুরে। ০.৩ পিপিএম মাত্রায় সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই হাস পোকার মারার জন্য অন্য ঔষধ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মলা মাছের ক্ষেত্রে সুমিথিয়ন ভালো। এর দুদিন পর পুকুরে রেনু ছাড়তে হবে। এতে প্লাংকটনের বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের খাবার ভালো মানের হবে। এভাবে সাড়ে তিন মাস থেকে ৪ মাসেই বাজারজাত করা যায় মলা ঢেলা মাছ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ