অবশেষে তার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল, বেলকুচি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মো: জাকির হোসাইনের। তিনি ৫ বছরেরও একটু বেশি সময় কর্মরত ছিলেন বেলকুচিতে, আর এই সময়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সকলের এক প্রিয় মানুষ, অসম্ভব কর্তব্যপরায়ণ আর চৌকস এই অফিসার সর্বক্ষেত্রে তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তার কর্মের মধ্য দিয়ে। বেলকুচি উপজেলায় বন্যা মৌসুমে যেমন দিনরাত এক করে সবসময়ই বন্যাক্রান্ত মানুষের পাশে থেকেছেন।
তেমনি কাজের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন প্রতিটি গ্রামে। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের সকল বিষয়ে তার প্রানবন্ত উপস্থিতি ছিল নজর কাড়া, সকল পর্যায়ের মানুষের সাথে তার সখ্যতা ছিল উল্লেখ করার মত। রাজনৈতিক জটিলতা সমন্বয় করে সকল কাজ তিনি অত্যন্ত চতুরতার সাথে সম্পন্ন করেছেন। তার বাসা আর অফিসে সাহায্য প্রার্থীদের ভিড় থাকত জনপ্রতিনিধির বাড়ির মত। তিনি এসব উপকার ভোগীদের যথাসাধ্য সেবা দিতেন। সরকারি যাবতীয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় তার জুড়ি মেলা ভার।
অনিন্দ্য সুন্দর শব্দশৈলী আর বাচন ভঙ্গীতে যেকোন জাতীয় প্রগ্রাম হয়ে উঠত প্রানবন্ত। অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি হবার কারনে সকলের সাথে তার সখ্যতা ছিল ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। তাই উপজেলার যেকোন দপ্তরের যেকোন প্রগ্রামে তার যেমন সরব উপস্থিতি ছিল, ঠিক তেমনি যে কেউ যেকোন দপ্তরের সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান মিলত তার কাছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণে তার ক্লাশ করার জন্য প্রশিক্ষনার্থীরা কাল বিলম্ব করতনা। সদা হাস্যজ্বল এই কর্মকর্তার দরুন বেলকুচিতে সরকারের ভাবমূর্তি সবসময়ই উজ্জ্বল ছিল।
তার নতুন কর্মস্থল দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব শাহ কামাল এর নিজ উপজেলা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ। তার বদলী জনিত কারণে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিদায় অনুষ্ঠানে স্মৃতি বিচরিত বেলকুচির কথা উপস্থাপনের সময় কাঁন্নায় ভেঙ্গে পরেণ। উপজেলা পরিষদ, অফিসার্স ক্লাব, প্রেস ক্লাব, চেয়ারম্যান ফোরাম, মেম্বার ফোরাম, সচিব ফোরাম সবাই এসেছিল সম্মান জানাতে, অশ্রুসিক্ত নয়নে কর্তব্যের খাতিরে চলে যাবেন এই কর্মকর্তা। বেলকুচির অসংখ্য মানুষের কাছে তার কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন অনেক অনেক দিন। হয়ত কর্তব্যের খাতিরে আবারো আসবেন হয়তবা আসবেননা...।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
