মানবতাবিরোধী অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আগামী ২ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব চড়াচ্ছে ‘সাঈদী কে চাঁদে দেখা গেছে’ কুচক্রী মহল। তারা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য এবং দেশে আবারও অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এই কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা। তাদের ভাষ্য, গুজবে কোন ভাবেই বিভ্রান্ত হওয়া যাবেনা। বিভ্রান্ত হলেই স্বাধীনতাবিরোধীদের করা ষড়যন্ত্র সফল হয়ে যাবে। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের পরোক্ষ নির্দেশনায় তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘গুজব সেল’ থেকে এই মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মে মাসের ২ তারিখে সাঈদী মুক্তি পাচ্ছেন। কিন্তু আদতে তা নয়। কারণ, আদালতের রায় অনুযায়ী আমৃত্যু সাঈদীকে জেলে থাকতে হবে। তার মুক্তির কোন সম্ভাবনা নেই। মূলত মুক্তির পথ বন্ধ বলে একটি গুজব ছড়িয়ে জনমনে উসকানি ছড়াচ্ছে কুচক্রী মহলটি। সঙ্গে এও বলছে, দুর্নীতি মামলায় যেহেতু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে, সেহেতু সাঈদীকেও দেবে।
বিএনপি-জামায়াত চক্রের এই প্রচারণাকে ‘সম্পূর্ণ গুজব’ উল্লেখ করে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, সাংগঠনিক তৎপরতার বিপরীতে এখন বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রোপাগান্ডা চালানোর কাজে বেশি ব্যস্ত। এজন্য তারা বিভিন্ন ইস্যুকে পুঁজি করে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নানা রকম মিথ্যাচার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। জনগণ ইতোমধ্যে অনেকবার তাদের কপটতা ধরে ফেলেছে। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও হেয় মানসিকতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাই সবাইকে এই গুজব এড়িয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সাঈদী সাহেব নির্দোষ মানুষ। তার মুক্তি যে কেউ চাইতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে নিজেদের কর্মতৎপরতা গণমাধ্যমে প্রকাশের ইচ্ছাপোষণ করছি না।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ