শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সফল চিকিৎসক থেকে একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ, ডা: হাবিবে মিল্লাত

সফল চিকিৎসক থেকে একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ, ডা: হাবিবে মিল্লাত

অধ্যাপক ডা: হাবিবে মিল্লাত মুন্না

অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। মাত্র ৯ বছরে সিরাজগঞ্জের অনুকরনীয় রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন। বিগত ৫ বছর সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আশাতীত উন্নয়ন কর্মকান্ড  তাঁর হাত দিয়েই বাস্তবায়িত হয়েছে। এ কারণে জেলার সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে উন্নয়নের রূপকার আখ্যা দিয়েছেন। ডা. হাবিবে মিল্লাত দেশের একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক। তিনি এক সময় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে  জেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরেন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ ডিগ্রিধারী এই কার্ডিয়াক সার্জন রাজনীতিতে নেমেই সবার নজর কাড়েন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সিরাজগঞ্জের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। 

সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানান যায়, নদীভাঙ্গন কবলিত সিরাজগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। বড় কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড না হওয়ায় এলাকার মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবতন হচ্ছির না। ২০১১ সালে সিরাজগঞ্জ কলেজ মাঠের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাকে জেলার উন্নয়ন সমন্বয়কের দায়িত্ব দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় মিল্লাত মুন্নার কর্মযজ্ঞ। বন্যা পীড়িত সিরাজগঞ্জবাসীর দুঃখ ঘুচাতে বাস্তবায়ন করছেন মেগা প্রকল্প। চারটি ক্রসবার বাঁধ নির্মাণ করে নদীভাঙ্গন থেকে সিরাজগঞ্জকে রক্ষা করেন।

২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পেয়েই ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৪১ একর জমির ওপর ইকোনোমিক জোন-১ নির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেন। এছাড়া ৪০০ একর জমির ওপর বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণে ৬২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যাবে সিরাজগঞ্জের দৃশ্য। এছাড়াও শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ, মেরিন টেকনোলজি ইন্সটিটিউট স্থাপন, মুলিবাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে নলকা বাইপাস পর্যন্ত ফোরলেন মহাসড়ক নির্মাণসহ অসংখ্য বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তার নির্বাচনী এলাকার সকল জীর্ণপ্রায় রাস্তা-ঘাট নতুন করে নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নতুন একাধিক নতুন রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট তৈরি করেছেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে নির্মাণ করেছেন স্কুল-কলেজ-মাদরাসা। কামারখন্দ উপজেলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। 

বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কওমী জুটমিল তাঁর উদ্যোগে চালু হওয়ায় কর্ম ফিরে পায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। সিরাজগঞ্জ-ঢাকা আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, পাসপোর্ট অফিস, সরকারি গণগ্রন্থাগার, শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক, কাটাখালি সংস্কারসহ অসংখ্য ছোটবড় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেন এমপি মুন্না। 

জানা যায়, তরুণ চিকিৎসক ডা. মুন্না ১৯৬৬ সালের ১৫ই জানুয়ারি সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ভর্তি হন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। ওই কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে রয়েল কলেজ অব সার্জন্স অব (এডিনবরা) থেকে এফআরসিএস ডিগ্রি নেন।  এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও বেলজিয়ামের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জারির ওপর দীর্ঘ ১২ বছর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। দেশে ফিরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। যোগ দেন কার্ডিওথোরাসিক সার্জন হিসেবে। ওয়ান-ইলেভেনের সেনাসমর্থিত মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের শাসনামলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কিছুদিন স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ওই সময় বর্তমান এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক টিমের সর্বকনিষ্ট সদস্য ছিলেন হাবিবে মিল্লাত। একসময় মেধাবী এই চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। তখনই তাকে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে নেমে মানুষের সেবা করার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিনিও রাজি হয়ে যান। তখন থেকেই তিনি অবহেলিত সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য কাজ শুরু করেন। এরপর বারডেমে কিছুদিন চিকিৎসাসেবা দেন। পরে পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

রাজনীতিছাড়াও তিনি নিয়োজিত রয়েছেন বিভিন্ন সেবামূলক কাজেও। বাংলাদেশ  রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনে কেন্দ্রীয় কার্যকরি সদস্য তিনি। এছাড়া লায়ন্স ক্লাব অব ভেরিতাসের সভাপতি এবং ভেরিতাস ফার্মাসিউটিক্যালস লি.র চেয়ারম্যান।

তিনি ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের শুভেচ্ছা দূত, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বাংলাদেশ চিকিৎসা পরিষদ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব  রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মরহুম পিতা ডা. ছানাউল্লাহ আনছারীর স্মরণে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘আনছারী ফাউন্ডেশন’ গঠন করেন। সেখান থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া দেশি-বিদেশি অসংখ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কন্যা মিসেস শারিতা মিল্লাতের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিও ভেরিতাস ফার্মাসিউটিক্যাল লি.র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের দুই সন্তান শাহরিয়ান এবং ফেবিয়ান যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই