মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবারই যে কারণে জুমার দিন

শুক্রবারই যে কারণে জুমার দিন

শুক্রবার আমরা নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করে, বাস্তব জীবনে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করে মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের চেষ্টায় সচেতন হই।

এ কারণে ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য পবিত্র জুমার দিন অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ও রহমত এর একটি দিন।

বলা হয়ে থাকে অসহায়, দরিদ্র মুসলমানদের জন্য এদিনটি হজের দিন। কেউ কেউ আবার মুমিন মুসলমানদের জন্য এ দিনটিকে ঈদের দিনও বলে থাকে। 

অর্থাৎ এ দিনটি মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের সেরা দিন। ধনী-গরীব ছোট বড় সবাই এক সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করে থাকে। এদিনের জুমার নামাজের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে মুসলিম ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাতৃত্বের এক অসাধারণ নিদর্শন তুলে ধরে।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

‘হে বিশ্বাসীরা! যখন জুমার নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা কেনাবেচা বন্ধ করে আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও। এটা তোমাদের নিজেদের কল্যাণের জন্যেই, যদি তোমরা বুঝতে!।’ (সূরা: জুমআ, আয়াত:  ৯)। 

হাদিসেও জুমার নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ঘোষিত হয়েছে তা আদায়কারীদের জন্য অনেক পুরস্কার।

প্রথম হিজরি সনে রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় গেলেন। তিনি শুক্রবার সেখানে পৌঁছালেন। বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় গেলে যোহর নামাজের সময় হয়ে যায়। সেখানে তিনি ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। অর্থাৎ তিনি যোহর নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজ আদায় করেন।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এর সূচনা হয় আরো পরে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মদিনায় যাওয়ার পর এবং জুমার নামাজ ফরজ হওয়ার আগে একবার মদিনার আনসার সাহাবিরা আলোচনায় বসেন। তারা উত্থাপন করলেন যে, ইহুদিদের একত্রিত হওয়ার জন্য সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। নাসারারাও সপ্তাহে একদিন একত্র হয়। তাই আমাদের জন্য সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন হওয়া প্রয়োজন, যেদিনএ আমরা সবাই সমবেত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করব এবং নামাজ আদায় করব।

এরপর সেই আলোচনায় উঠে আসলো, শনিবার ইহুদিদের আর রোববার নাসারাদের জন্য নির্ধারিত। তারা শুক্রবারকে গ্রহণ করলেন এবং তারাই এ দিনকে জুমার দিন নামকরণ করলেন (সীরাতুল মুস্তাফা ও দারসে তিরমিজি)।

আসলে জুমার দিন সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে সর্বোত্তম দিন। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সূর্য উদয় হয়েছে এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্ত দিন জুমার দিন। এদিন হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। এদিন তাকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। এদিনই কিয়ামাত সংঘটিত হবে। (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)।

এদিনে মুসলমানেরা একত্রে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া জুমার নামাজ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (মুসলিম)।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর