শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাদপুরে বাঁধ-সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন বাসভাসি মানুষ

শাহজাদপুরে বাঁধ-সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন বাসভাসি মানুষ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। তৃতীয় দফা বন্যার পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার বাড়িঘর ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া বাড়িঘরের অনেক মানুষ তাদের গবাদিপশু নিয়ে এনায়েতপুর-ভেড়াকোলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সড়কে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ বিষয়ে খুকনি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোছা. লতা খাতুন জানান, ৭, ৮ ও ৯ নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা গঠিত। এসব ওয়ার্ডের বেশির ভাগ মানুষ তাঁত শ্রমিক ও দিনমজুর।

এদের প্রায় সবারই বাড়িঘরে বন্যার পানি উঠেছে। এদের অনেকেরই যাওয়ার জায়গা না থাকায় সড়ক ও বাঁধের ধারে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বাড়িঘরেও ৩ ফুট পানিতে ডুবে গেছে। বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানেও ডুবে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে এনায়েতপুর সড়কে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। পলিথিন টানিয়ে রয়েছি। বৃষ্টি এলে কাঁথা-বালিশ নিয়ে ভিজে যাই।

তিনি বলেন, আমার এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অথচ এখনও তাদের ভাগ্যে জোটেনি একটু ত্রাণ সামগ্রী। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও পিআইওকে বলেছি। কিন্তু এখনও কোনো বরাদ্দ মেলেনি। ফলে এলাকাবাসীকে নিয়ে চরম কষ্টে আছি।

এ বিষয়ে খুকনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ বলেন, বন্যার জন্য এখনও কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে ঈদ উপলক্ষে ১০৪ মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২/৩ দিনের মধ্যেই তা বিতরণ করা হবে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলার পিআইও আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্যার্তদের জন্য যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে তৃতীয় দফায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভয়ংকর ভাঙনে আশ্রয়হীন ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে যমুনাপাড়ের মানুষ।

অপরদিকে শুক্রবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিমলা ও পাঁচ ঠাকুরী এলাকায় ভয়াবহ যমুনা নদীর ভাঙনের তাণ্ডব শুরু হয়েছে।

গত ২দিনে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ, আবাদি জমি, গাছপালা যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহারা মানুষ সহায় সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এদিকে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় বন্যাকবলিত ৬টি উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর,বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার বানভাসি পানিবন্দি ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, শুকনো খাবার, টয়লেট পয়ঃনিষ্কাশন, শিশু খাদ্য, ওষুধের অভাব ও গোখাদ্যের সংকটে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৪০০ টন জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ১৪২ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে মজুদ আছে ২৫৮ টন চাল। শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য চার লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৯৫০ প্যাকেট।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর