পবিত্র ঈদুল আযহার পরের দিন থেকে শাহজাদপুরের করতোয়া নদীতে ও থানার ঘাট ব্রীজে বিনোদন প্রেমিদের ছিল উপচে পড়া ভীড়। গত রোববার ও সোমবার আকাশ পরিচ্ছন্ন থাকায় বিকেল ৫টা থেকেই পৌর সদরে থানার ঘাট ব্রীজ যেন কানায় কানায় ভরে ওঠে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব শ্রেণীর মানুষেই শো-ডাউন ছিল থানার ঘাট ব্রীজে।
এছাড়াও ব্রীজের নিচে করতোয়া নদীতে বাদ্য বাজনা নিয়ে নৌকায় চড়ে ভিন্ন আমেজে মেতে ছিল এক শ্রেণীর যুবকেরা। বিকেল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ছিল বিনোদন প্রেমিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ঈদের আকর্ষণ ছিল এই ব্রীজ। শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ব্রীজে আসে প্রতি ঈদের পরের দিন থেকে। এদিকে শাহজাদপুর একটি বিশাল জনবহুল এলাকা ও প্রথম শ্রেণীর পৌর সভা অথচ এত গুণ থাকা সত্বেও শাহজাদপুরে নেই কোন পার্ক নেই কোন বিনোদনের জায়গা।
কিছু জায়গা থাকলেও সেগুলো এখন এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শত শত বিনোদন প্রেমিরা জানান, শাহজাদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাঘাবাড়ী মিল্কভিটা পাওয়ার প্লানসহ অনেক স্থাপনা এখানে রয়েছে। অথচ, এখানে কোন বিনোদনের জায়গা না থাকায় তারা ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
এ কারণে বিনোদন প্রেমিরা ব্রীজে ও নৌকায় করে ঈদ আনন্দ উপভোগ করে। নদীর নির্মল বাতাস ও লোকালয়ের কোলাহল ও ফেসবুকের সেলফি দেখে মনে হয় করোনা ভাইরাস আর আমাদের মাঝে নেই। করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করেই নদীতে ও ব্রীজে ছিল বিনোদন প্রেমিদের বিশাল শো-ডাউন। এদিকে চলন্ত ব্রীজে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা এজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল না কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ