সঠিক পথ দেখানোর মালিক মহান আল্লাহ। কুরআন নাজিলের মাসে দুনিয়ার যাবতীয় বিভ্রান্তি ও ভুল থেকে বেঁচে থাকতে মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহের বিকল্প নেই। সে কারণেই রোজাদার আজ মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ দোয়া পড়বেন-
اَللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنِيْ فِيْهِ بِالْعَثْرَاتِ، وَأَقِلْنِيْ فِيْهِ مِنَ الْخَطَايَا وَالْهَفَوَاتِ، وَلَا تَجْعَلْنِيْ فِيْهِ غَرْضًا لِلْبَلَايَا وَالْآَفَاتِ، بِعِزَّتِكَ يَا عِزَّ الْمُسْلِمِيْن
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লা তুআখিজনি ফিহি বিলআছরাতি; ওয়া আক্বিলনি ফিহি মিনাল খাত্বায়া ওয়াল হাফাওয়াতি; ওয়া লা তাঝআলনি ফিহি গারাদান লিলবালায়া ওয়াল আফাতি; বিইযযাতিকা ইয়া ইযযাল মুসলিমিন।‘
অর্থ : হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না। আমার দোষ-ত্রুটিকে হিসাবের মধ্যে ধরো না। তোমার মর্যাদার ওসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না। হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।
রোজাদারের মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার রহমতের ওসিলায় দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ