আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন-সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ধামাইনগর ইউনিয়নের একটি অতি প্রিয় মুখ। কৃষক-শ্রমিক-মজুরসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে নুরুল ভাই নামে পরিচিত তিনি।
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা নুরুল হক নয়ন এবার নৌকার মাঝি হয়ে ধামাইনগরের মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান। সেক্ষেত্রে ইউনিয়নবাসীর ব্যাপক সাড়াও মিলছে তার পক্ষে। এর আগেও দু দফায় দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। কিন্তু মনোনয়ন না পেলেও দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করে বিজয় সুনিশ্চিত করেছেন তিনি।
টানা ১৫ বছর ধামাইনগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সাথে মিশেছেন তিনি। এলাকার দুঃস্থ, অসহায় মানুষের সহযোগীতায় দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির জন্য নিজেকে সপে দিয়েছেন। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রামে রাজপথে সরব উপস্থিতি ছিল নুরুল হকের। ভয়ভীতি কিংবা লোভ-লালসা কোনটাই তাকে এতটুকো আর্দশচ্যুত করতে পারেনি।
সরেজমিনে জানা যায়, নুরুল হক নয়ন ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরিতলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সন্তান। তাঁর পিতার নাম মরহুম আলহাজ্ব ইব্রাহিম হক মিয়া। ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথ যখন উত্তাল। ঠিক তখনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে তার রাজনৈতিক সূচনা হয়। এক পর্যায়ে ধামাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তখন ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন নুরুল হক।
এছাড়াও চান্দাইকোনা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি রাজপথে সরব ভূমিকা পালন করেছেন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ব্যানারে প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে যুবলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আবারও স্থানীয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে গিয়ে নুরুল হক নয়নের সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও বিশ্বাসের জোরে ২০০৪ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর টানা ৩ বার তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজেও নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন নুরুল হক। সমাজের যে কোন দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংগ্রহণ রয়েছে আগে থেকেই। তিনি ধামাইনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও খিরতলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরিতলা, ধামাইনগর, শালিয়াগাঁড়ী, শিবপুর, জামতৈল, কৃষ্টপুর ও নওপাসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, নুরুল হক নয়ন একজন দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠক ও সমাজসেবী। তার সবচেয়ে বড় একটি গুণ হলো নিজের বিনয়ী আচরণ ও সুন্দর হাসি দিয়ে মানুষকে কাছে টানতে পারেন। বিগত জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে কাজ করেছেন। এবার তিনিই নৌকার প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। দল মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে অনেকেই মনে করছেন।
এসব বিষয়ে নুরুল হক নয়ন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক-বাহক হয়ে বিশ্বনেত্রী, মমতাময়ী মা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের মিছিলে আমি একজ যোদ্ধা। আমার বিশ্বাস সাংগঠনিক দক্ষতার পুরস্কার হিসেবেই দল আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পণ করেছে। এজন্য বর্তমান এমপি জননেতা অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ মহোদয় এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। বর্তমানে রাজনৈতিক এবং সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমেই আপনাদের সাথে পথ চলছি।
আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আমি বিনয়ের সাথে ঘোষণা করছি আগামী ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি প্রার্থী হতে চাই। সে ক্ষেত্রে দল ও জনগণের সার্বিক সমর্থন কামনা করছি। আমার বিশ্বাস দল ও জনগণের সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে আপনাদের সাথে নিয়ে ধামাইনগর ইউনিয়ন কে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
