মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রমজান মাস, আল্লাহর কাছে বেশি করে দোয়া করেন: প্রধানমন্ত্রী

রমজান মাস, আল্লাহর কাছে বেশি করে দোয়া করেন: প্রধানমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে রোজার মাসে আল্লাহর কাছে বেশি করে দোয়া করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যেহেতু রমজান মাস, তাই, সবাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কোছে বেশি করে দোয়া করেন। যাতে এই পরিস্থিতির থেকে পরিত্রাণ পাই, এই কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে মানবজাতি মুক্তি পেতে পারে।

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রোববার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে অনুদানের চেক দেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস সেগুলো গ্রহণ করেন।

এ সময় তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ নিয়মে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করার ও অনুরোধ জানান।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক ধান উৎপাদন হয়েছে, খাদ্যের কোনো অভাব নেই এবং সরকার ব্যাপকভাবে ত্রাণ বিতরণও করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে যেমন ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে তেমনি দলীয় এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ যে যেমনভাবে পারছে অপরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের বিরাট একটা আন্তরিকতা, সকলেই সকলের তরে সকলকে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

তিনি পুনরায় ফসল উৎপাদন বাড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, কারো এতটুকু জমিও যেন খালি পড়ে না থাকে, যে যা পারেন তাই উৎপাদন করবেন। যাতে আগামীতে কখনও খাবারের কোনো অভাব না হয়। কোনো ধরনের দুর্ভিক্ষ যাতে বাংলাদেশে আসতে না পারে বরং প্রয়োজনে যেন আমরা অন্যকে সহযোগিতা করতে পারি।

এক জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ের বোরো ধান ঘরে তোলার পর সেই জমিতে আর কি কি ফসল উৎপাদন করা যায় তা খতিয়ে দেখার জন্য কৃষিমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি।

টেলভিশনের মাধ্যমে পাঠ্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের সংসদ টিভির মাধ্যমে শিক্ষার যে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ক্লাসগুলো যে প্রচার করা হচ্ছে তাতে কিছুটা হলেও ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার দিকে মনযোগী থাকতে পারছে। কারণ, ঘরে বসে থেকে থেকে এই ছোট্ট শিশুরা কি করবে, তাদের কষ্টটাই সবথেকে বেশি। কারণ, শহরে যারা বাস করে তাদের জন্য এই অবস্থাটা সত্যিই বেশ কষ্টকর, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো যে, এই ক্লাসগুলো মনযোগ দিয়ে শোনা দরকার। যারা মনযোগ দিয়ে শুনবে তাঁরা তাঁদের সিলেবাস সম্পর্কে জানতে পারবে, শিখতে পারবে।

দেশকে তার সরকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, যে যাত্রাকে করোনাভাইরাস অনেকাংশে ব্যাহত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই, আমাদের থেমে থাকলে চলবে না, এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন এই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করে গড় তুলবেন। আমরা দারিদ্র মুক্তির অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। সফলতাও এনেছিলাম এবং আশা ছিল খুব শিগরিই বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল মুজিব বর্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০২০ থেকে ২০২১ এর মধ্যেই বাংলাদেশ দারিদ্র মুক্ত হবে। তবে, করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে একটা বিরাট ধাক্কা লেগেছে। অবশ্য আমি আশা করি এই বাধা দূর করেই আগামীতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর বিশ্বব্যাপী যে সমস্যা সেটিও দূর হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ