বিয়ের বেশ কয়েক বছর পার হয়ে গেছে, এমন সময় সবাই চায় পরিবারে নতুন সদস্য আসুক। এই ইচ্ছা থেকেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তবে এর জন্য জানা চাই কোন সময়ের শারীরিক সম্পর্কে গর্ভধারণ নিশ্চিত হয়।
অনেকেই এর সঠিক সময় না জানার কারণে সন্তান ধারণে বিলম্ব হয়ে যায়। যার ফলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসও হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। তাই আগে থেকে জেনে নিন কোন সময়ের শারীরিক সম্পর্কে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে-
> গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল। কবে পিরিয়ড শেষ হয়েছে খেয়াল রাখুন। ওভিলিউশনের এক থেকে দু’দিনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে গর্ভধারণের সম্ভাবনা প্রবল। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু নিঃসরণ হলে তাকে বলে ওভিলিউশন।
> সাধারণত মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল শুরু হওয়ার ১৪ দিন আগে ওভিলিউশন শুরু হয়। এই সময় স্তনে অন্য ধরনের অনুভূতি হয়। অনেকের আবার মাঝেমধ্যে যন্ত্রণাও হয়। তবে ওভিলিউশন সবচেয়ে ভালো বোঝা যায় যৌন আকাঙ্ক্ষা থেকে। এই সময় নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা অনেক বেড়ে যায়।
> ভ্যাজাইনা থেকে যে পদার্থ নিঃসরণ হয়, সেটিরও এই সময় পরিবর্তন ঘটে। এই সময় ওই পদার্থটি অনেক বেশি পিচ্ছিল ও হালকা হয়ে যায়। গোটা বিষয়টি বোঝার জন্য আপনি ভ্যাজাইনায় পরিষ্কার টিস্যু বা টয়লেট পেপার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
> ওভিলিউশনের সময় পিঠ ও পেটে ব্যথা হয়। পিরিয়ড শুরু হওয়ার ১৪ দিন আগে থেকে এই ব্যথা অনুভূত হয়। পিঠের নিচে কোমরের জায়গায় ও পেটের একদিকে সাধারণত যন্ত্রণা হয়।
> ওভিলিউশন শুরুর দিন পাঁচেক আগে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে বেশি। এই সময়ের শারীরিক মিলনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণ প্রায় অবশ্যম্ভাবী। কারণ, এটাই নিষেকের একেবারে অব্যর্থ সময় বলে চিকিত্সকরা বলে থাকেন।
> তবে ওভিলিউশনের প্রথম এক বা দু’দিনের মধ্যে শারীরিক মিলনেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। যদি মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল অনিয়মিত হয় তবে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়। কারণ ওভিলিউশনের উপর প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এগোনোই ভালো।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ