ধরণা করা অন্যায়। অযথা কারো প্রতি ধরণা করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ। আর এ ধারণা যদি মহান আল্লাহর ব্যাপারে হয় তবে বিষয়টি কেমন হবে। এ সম্পর্কে হাদিসের নির্দেশনাই বা কী?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ইন্তেকালের ৩দিন আগে আল্লাহর প্রতি ক্ষমা ও রহমত লাভে সুধারণা পোষণ করার ওপর স্থির থাকার কথা বলেছেন। যাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি ক্ষমা রহমত নাজিল হয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালে ৩দিন আগে তাকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তোমরা কেউই এ অবস্থায় স্থির না হয়ে মৃত্যুবরণ কর না। আর তাহলো- আল্লাহ তাআলার প্রতি এ সুধারণা পোষণ করা যে, তিনি তাকে রহম করবেন এবং ক্ষমা করবেন।’ (মুসলিম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহান আল্লাহর তাআলার প্রতি ক্ষমা ও রহমত লাভে সুধারণা পোষণ করা। এমন সুধারণা স্থির করা যে, মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন এবং তার প্রতি রহমত নাজিল করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর ক্ষমা ও রহমত লাভে তাঁর প্রতি সুধারণা পোষণ করে মৃত্যুবরণ করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ