শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুসাফিরের রোজা ও তারাবির নামাজের বিধান

মুসাফিরের রোজা ও তারাবির নামাজের বিধান

প্রশ্ন : অনেকের মুখে শুনেছি মুসাফির ব্যক্তির রোজা রাখতে হয় না। আমি জানতে চাই মুসাফির বলতে কাকে বুঝায়? আমার শোনা কথা কি সঠিক? রোজা না রাখার অবকাশ থাকলে তারাবিও না পড়ার সুযোগ আছে? বিষয়গুলো জানতে পারলে উপকৃত হতাম।

উত্তর : শরীয়তে সফর দ্বারা উদ্দেশ্য :  শরীয়তে সফর বলতে বুঝানো হয়, সফরের নিয়তে তিন মনজিল সমপরিমান দূরত্বে যাওয়া। এক মনজিল সমান ১৬ মাইল। মাইল দ্বারা প্রচলিত মাইল উদ্দেশ্য। অতএব, তিন মনজিল বা ৪৮ মাইল দূরে ভ্রমণে গেলে তা সফর বলে গণ্য হবে। প্রচলিত কিলোমিটার হিসেবে ৭৭ কিলোমিটার। (আপকে মাসায়েল, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-৭৭)।

গ্রহণযোগ্য সফর হওয়ার জন্য শরীয়তে নিয়তের শর্ত করা হয়েছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি নিয়ত ছাড়া এর চেয়েও বেশি দূরত্বে যায় তবুও সে মুসাফির হবে না। (ফিকহি দওয়াবেত, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৯৪)।

মুসাফিরের পরিচয় : যে ব্যক্তি নিজ বাড়ি বা আবাসস্থল থেকে, পূর্বোক্ত সমপরিমান বা তার চেয়ে বেশি দূরতে যায় এবং সেখানে পনেরো দিনের কম থাকার নিয়ত করে সেই মুসাফির। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড-২য়, পৃষ্ঠা-৭২৮, আপকে মাসায়েল, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-৭৭)। মুসাফির হওয়ার জন্য দ্বীনি কোনো কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া শর্ত নয়। জাগতিক কোনো উদ্দেশ্য এমনকি খারাপ নিয়তে বের হলেও সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। (আদ দুররুল মুখতার, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৭২৭)।

মুসাফিরের রোজার বিধান : রোজা রাখার ব্যাপারে মুসাফির ব্যক্তির বিধান ঐচ্ছিক। ইচ্ছা হলে রাখতেও পারে, না রাখারও সুযোগ আছে। তবে শরীয়তবেত্তাদের পরামর্শ হচ্ছে, রোজা রাখতে যদি কষ্ট না হয় তাহলে মুসাফিরের জন্য রোজা রাখা উত্তম। সফরের কারণে যদি রোজা রাখা না হয় তাহলে বাড়িতে ফিরে ওই রোজার কাযা করতে হবে। (ফতোয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-৪৭২, মাকতাবা দারুল উলুম দেওবন্দ)। সফররত অবস্থায় মারা গেলে ছুটে যাওয়া রোজার ফিদিয়া দিতে হবে না। আর মুসাফির ফিরে আসার পর রোজা কাযা না করেই যদি মারা যায় তাহলে এক্ষেত্রে দেখতে হবে, সে রোজা রাখার সুযোগ পেয়েছিলো কী না। সুযোগ পাওয়ার পরও যদি না রেখে মারা যায় তাহলে রোজার ফিদিয়া দিতে হবে। এর আগেই যদি মারা যায় তাহলে ফিদিয়া দিতে হবে না। (আল লুবাব, পৃষ্ঠা-১৭৭)।

মুসাফিরের তারাবির নামাজের বিধান : মুসাফিরের তারাবির নামাজের বিধান অন্যান্য সুন্নত নামাজের মতো। অর্থাৎ মুসাফির যদি কোনো ধরনের তাড়াহুড়ো বা ভয়-ভীতিতে না থাকে এবং তারাবির নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে সে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে তাহলে সে তারাবি পড়বে। অন্যথায় তাকে তারাবি পড়তে হবে না। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড-৩য়, পৃষ্ঠা-৭৩৭, আপকে মাসায়েল, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-১০৫, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া, খণ্ড-১১, পৃষ্ঠা-৬০৭)।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই