স্বাধীনতার পর দ্বিতীয়বারের মত মন্ত্রীত্বহীন হয়ে পড়ল সিরাজগঞ্জ। মন্ত্রী পরিষদে নাম নেই জেলার কোন সংসদ সদস্যদের। আগ্রহ নিয়ে টেলিভিশনে সামনে বসেছিল সিরাজগঞ্জবাসী।
একে একে অন্যান্য জেলার এমপিদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা দেয়া হলেও তাতে সিরাজগঞ্জের কোন এমপির নাম মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণায় আসেনি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন সিরাজগঞ্জবাসী।
সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা কমিটির আহবায়ক ডা. জহুরুল হক রাজা বলেন, সিরাজগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনে কোন মন্ত্রী দেয়া হয় নাই এর জন্য আমরা সিরাজগঞ্জবাসী হতাশ। তবে এ জন্য যেন জেলার কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থবির হবে না বলে তিনি মনে করেন। কারণ সিরাজগঞ্জের উন্নয়নের দেখভাল করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই। তবে আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর আগামীতে অবশ্যই মন্ত্রীত্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও স্থানীয় কলম সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক মো. আব্দুল হামিদ জানান, উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ জেলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ জেলা। স্বাধীনতার পর প্রায় সব সংসদেই মন্ত্রী ছিল। এবার মন্ত্রীত্ব না থাকায় জেলাবাসী হতাশ। এতে উন্নয়ন কর্মকান্ড কিছুটা হলেও ধীরগতি হবে। জেলার উন্নয়নের গতি ত্বরান্তিবত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যে মন্ত্রণালয় আছে তার যে কোন একটির মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিবেন বলে তিনি দাবী জানান।
স্থানীয় সচেতন যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও রেজাউল করিম রেজাসহ অনেকে জানান, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এবং জেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নাম মন্ত্রী পরিষদে থাকবে। কিন্তু এদের নাম না থাকায় সিরাজগঞ্জবাসী পুরোপুরি হতাশ। দলমত নির্বিশিষে বিষয়টি কেউ সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। আমরা আশা করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জবাসীকে হতাশ না করে জেলায় একজনকে মন্ত্রীর দায়িত্বপ্রদান করবেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে সিরাজগঞ্জে শহীদ এম.মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী, ডা. এম.এ. মতিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী, হাসিবুর রহমান স্বপন উপমন্ত্রী, মোহাম্মদ নাসিম স্বরাষ্ট্র, ডাক, তার-টেলিযোগাযোগ এবং সর্বশেষ স্বাস্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ