মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ

বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ

প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা জিতেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। একপেশে ফাইনালে নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। নাজমুল একাদশের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য লিটন দাসের ফিফটিতে সহজেই পেড়িয়ে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

রান তাড়ায় মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেন লিটন দাস ও মুমিনুল হক। মাত্র ৪ রানে মুমিনুল আউট হওয়ার পর বেশি রান করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও। তবে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন লিটন।

এরই মাঝে চলতি আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৬৮ রানে তিনি আউট হওয়ার পর কায়েসকে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন দলপতি রিয়াদ। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা। শেষ পর্যন্ত ইমরুল ৫৩ ও মাহমুদউল্লাহ ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে দিনের শুরুতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নাজমুল একাদশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও শুরুতেই উইকেট হারায় নাজমুলের দল। রুবেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪ রান করতে পারেন সাইফ। 

এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দেখে শুনে খেলছিলেন সৌম্য। কিন্তু হঠাৎ করেই তার চোখে সমস্যা দেখা দেয়। ঝুঁকি নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে শুশ্রূষার জন্য সাজঘরে যাওয়াকে বেছে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

তার জায়গায় নেমে ধরে খেলার চেষ্টা করেন মুশফিক। মাত্র ১২ রানে তিনি আউত হওয়ার পর আবারো ব্যাট হাতে নামেন সৌম্য। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ওপেনার। দলের বিপদের সময় বিলাসী শট খেলে উইকেট দিয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্তও। এর আগে তিনি করেন ৩২ রান। কোনো রান না করেই তাকে অনুসরণ করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

মাত্র ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় নাজমুল একাদশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়। দুজনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৭০ রানের পার্টনারশিপ। এই দুজনের জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তৌহিদ। অন্য প্রান্তে সতীর্থদের যাওয়া-আসার মধ্যেও এক প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন ইরফান।

মুশফিককে টপকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে দলীয় ৭৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ইরফান। ৭৭ বলের ইনিংসে তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। শেষপর্যন্ত ৪৭.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩ রান।

মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে সুমন একাই শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া রুবেল হোসেন দুটি এবং এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ