অনেক জায়গা থেকে যদিও লকডাউন উঠেছে কিন্তু করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে অনেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু একটানা ঘরে বসে থাকাও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হাঁটা-চলা করতেই হবে। বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
যারা নিয়মিত পার্কে কিংবা রাস্তায় একটানা হাঁটতেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছাদে কিংবা বারান্দায় হাঁটার চেষ্টা করছেন। অনেকের কাছ তাই প্রশ্ন, বাইরে হাঁটলে যে সুফল পওয়া যাবে, বারান্দা বা ছাদে হাঁটলে সেটা কতটা কার্যকর হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালকা গতিতে অনেক ক্ষণ রাস্তায় হাঁটাচলা করলে লাভ নেই। বরং এক মিনিট জোরে তার পর তিরিশ সেকেন্ড আস্তে হাঁটলে, সেটা ছাদ হোক কিংবা বারান্দা, তা অনেক বেশি কার্যকর।
তাদের মতে, দু’মিনিট অত্যন্ত দ্রুত হেঁটে তিরিশ সেকেন্ড বিশ্রাম, এই পদ্ধতি অবলম্বন করে হাঁটতে পারেন। তাদের ভাষায়, একটানা পার্কে কিংবা রাস্তায় ৪০ মিনিট হাঁটার বদলে এটি অনেক বেশি কাজে দেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাদে কিংবা ঘরে হাঁটার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। যেমন-
১. বয়স্কদের টানা অনেক ক্ষণ হাঁটা ঠিক নয়। এতে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।
২. হৃদরোগজনিত জটিলতা না থাকলে যে কোনও বয়সের যে কেউ জোরে হাঁটতে পারেন।
৩. হাঁটার সময় স্টপ স্টার্ট পদ্ধতি মেনে চলুন। এর মানে হচ্ছে দ্রুত ঘাম ঝরিয়ে এক মিনিট হেঁটে আবার তিরিশ সেকেন্ড ধীর গতিতে হাঁটুন। এভাবে বাড়ির ছাদে রোজ ১৫ হাঁটলেও তা শরীরের জন্য উপকারী হবে।
৪. যেকোন ব্যায়ামের মূল শর্ত হচ্ছে ঘাম ঝরানো। হাঁটা যে কোনও ভাবে, যে কোনও জায়গায় হতে পারে। রাস্তার বদলে ছাদে বিরতি নিয়ে স্টপ স্টার্ট পদ্ধতি মেনে হাঁটা অনেক বেশি কার্যকর।
তবে আবাসনের ছাদ হলে যদি অন্যরা উঠে তাহলে অনেকের জমায়েত হবার সম্ভাবনা থাকে। তখন ছাদে উঠলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে মাস্ক পরে দ্রুত গতিতে হাঁটার ব্যাপারে সাবধান থাকতে বলেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক পরে জোরে হাঁটলে দমবন্ধ হয়ে আসার একটা অনুভূতি তৈরি হতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে যাদের হৃদরোগজনিত জটিলতা, সিওপিডি, হাঁপানির সমস্যা আছে, তাদের এবং বয়স্কদের মাস্ক পরে দ্রুত গতিতে হাঁটা একেবারেই উচিত নয়।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ