শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইসু্যর সহজ সমাধান সম্ভব।

যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব এখন ইতিহাসের যে কোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌?যাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আয়োজনে ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে, তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় দুই দেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে, তা সম্পর্কের সূত্রকে আরও সুদৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে যেমন প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, তেমনই প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো দেশই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগোতে পারে না। শেখ হাসিনা সরকার কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়েই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা গড়ে তুলতে চাই এ দেশের সমৃদ্ধির সোপান। দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান সুযোগ এবং অধিকার রয়েছে। আপনারা নিজেদের 'মাইনোরিটি' ভাববেন না।

এ শব্দটি আপনাদের মানসিকভাবে পিছিয়ে রাখবে। আপনারা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমানের রাষ্ট্রের প্রতি যে অধিকার আপনারও সেই অধিকার। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের অংশগ্রহণ রয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সমকালীন বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন বাংলাদেশ।

হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা এ দেশে পারস্পরিক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে বসবাস ও ধর্মচর্চা করে আসছে। এখানে মসজিদ এবং পূজামন্ডপ পাশাপাশি, এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বিপদে-আপদে সহযোগী আর সহমর্মী হয়। আবহমানকাল থেকেই এ চর্চা হয়ে আসছে এই বদ্বীপ জনপদে। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উন্নয়ন, মানবিকতা ও সম্প্রীতির শত্রম্ন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে পূজা উদ্‌যাপনে সহযোগিতা করে আসছে। গত বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৩২৮টি মন্ডপে পূজা উদ্‌যাপন হয়েছিল, প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে।

আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই- শেখ হাসিনা যতদিন আছেন আপনাদের কোনো ভয় নেই। তিনি বলেন, এ দেশে যারা হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা ও লালন করেছে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ বড় করে তুলেছে তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জীবন এবং সম্পদের ওপর বারবার আঘাত হেনেছে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরমবন্ধু হিসেবে পাশে থেকেছে। ধার্মিকতা মানেই পরমতসহিষ্ণুতা, কথায় এবং আচরণে নম্রতা এবং উদারতা উলেস্নখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্মানুশীলন মানুষের মনের জানালা খুলে দেয়। অথচ ধর্মের নামে আজকাল কিছু বিভ্রান্ত মানুষের অপকর্ম আমাদের ব্যথিত করে। মাঝেমাঝে বিচ্ছিন্নভাবে একটি অশুভচক্র ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে। যারা সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ কিংবা উগ্রতা চর্চা করে প্রকৃতপক্ষে তারা ধর্মের মূল শিক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো সক্রিয় উলেস্নখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অপচেষ্টা এখনো চলছে। সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।

তিনি ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সে নির্যাতন একাত্তরে পাক-হানাদারদের নির্যাতনকেই মনে করিয়ে দেয়। শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই তখন পাশে দাঁড়িয়েছিল। ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্ট অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর কুশীলবরাও অভিন্ন। ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন আমাদের জাতির পিতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন আমাদের আস্থার বাতিঘর উন্নয়নের স্থপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আগস্ট মানেই হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মজুমদার প্রমুখ।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই