শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধ হওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের একমাত্র হাঁস প্রজনন খামার

বন্ধ হওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের একমাত্র হাঁস প্রজনন খামার

সিরাজগঞ্জের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা ভেবে এডিবির অর্থায়নে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হ্যাচারি ও আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়) মাধ্যমে ২০১৩ সালে বেলকুচির সাহাপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয় জেলার একমাত্র আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটি।

উদ্দেশ্য ছিল বিদেশ থেকে উন্নত জাতের হাঁস সংগ্রহ করে প্রজননের মাধ্যমে খামারটিতে পালন করা। সেই হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে এবং তুলনামূলক কম দামে সিরাজগঞ্জসহ এ অঞ্চলের মানুষ সুলভ মূল্যে ক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হবে। পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও মিটবে।

এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষ খামারটি থেকে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে, সেটি পালন করে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। এছাড়া হাঁস পালনের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থান করাও ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের ১৮ জুন পর্যন্ত ঠিকঠাক চলছিল। এর পর থেকে এ প্রকল্পে সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায়, জেলা প্রাণিসম্পদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষের তদারকিতে কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী হাঁস প্রজনন খামারের সহায়তায় কোনোভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে খামারটি।

বেলকুচি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোসহ পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের অধীন জেলার বেলকুচি উপজেলায় সাহাপুর গ্রামে তিন একর জমির ওপর নির্মাণ করে খামারটি চালু করা হয়।

খামারে রয়েছে বিশাল আয়তনের ছয়টি হাঁসের শেড, একটি হ্যাচারি বুডার শেড, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটর, জেনারেটর ঘর, একটি গভীর নলকূপ, উন্নতমানের আবাসিক ভবন, অফিস কক্ষ, বিশাল গুদামঘর, ডরমিটরিসহ ছয় হাজার হাঁস পালনের ব্যবস্থা। বর্তমানে খামারটিতে ২৪৫টি বড় হাঁস, ৬৫০টি দেড় মাস বয়সী বাচ্চা রয়েছে।

সরেজমিন আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ছয়টি শেডের মধ্যে চারটি শেডই রয়েছে হাঁসশূন্য। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর যন্ত্রটিও বন্ধ রয়েছে। অফিস কক্ষ ও আবাসিক ভবনগুলোও বন্ধ। অবকাঠামোগত আধুনিক সব সুযোগ থাকার পরও প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বেলকুচি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত খামার ব্যবস্থাপক হিরা মিয়া বলেন, খামারটি পরিচালনার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থাপক ও পোলট্রি উন্নয়ন কর্মকর্তা। চলতি দায়িত্বের পাশাপাশি এ খামার দেখভাল করাটা আমার জন্যও কষ্টসাধ্য। খামারটি পুরোপুরি চালু রাখার জন্য একজন ব্যবস্থাপক ও পোলট্রি উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। না হয় অচিরেই খামারটি বন্ধ হয়ে যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, জেলার একমাত্র হাঁস প্রজননকেন্দ্রটি ছিল একটি প্রকল্প। তাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এটির জনবল ও আর্থিক সংকটের কারণে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, খামারটিতে অবকাঠামোসহ সব সুবিধাই রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে সচল করার উদ্যোগ নেয়া হলে জেলার মানুষকে হাঁস পালন করে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই