নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মনোনয়নের সঙ্গে রোববারের বোর্ড সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের নতুন তালিকাও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধুমাত্র ওয়ানডে অভিষেক হওয়া নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন চুক্তিতে থাকলেও নেই প্রায় তিন ফরম্যাটের নিয়মিত মুখ সৌম্য সরকার। গত বছর বাংলাদেশ তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ম্যাচ খেলেছে ৩০টি, এর মধ্যে ২৫টিতেই ছিলেন সৌম্য। অথচ তিনিই চুক্তিতে নেই।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছে ক্রিকেটারদের। গত বছর বাংলাদেশের খেলা পাঁচটি টেস্টের মধ্যে তিনটিতে খেলেছেন সৌম্য। আর ওই তিন টেস্ট খেলেই তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩০ রান করেছেন তিনি।
এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ১৮টি, যার মধ্যে ১৭টিতেই খেলেছেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতেও ৫০৬ রান করে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সৌম্য। সে সঙ্গে মিডিয়াম পেসে আটটি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। টি২০তেও তিনি নিয়মিত মুখ।
গত বছর বাংলাদেশের খেলা সাতটি টি২০ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই খেলেছেন তিনি। তিন ফরম্যাটে নিয়মিত খেলার পরও চুক্তিতে তার না থাকাটা অবাক করার মতোই। সৌম্যর সঙ্গে অবশ্য এটি নতুন নয়। আগের বছরের চুক্তিতে ছিলেন না তিনি। তখনও তিন ফরম্যাটে নিয়মিতই ছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে অবশ্য বিসিবির পক্ষ থেকে এখনও কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া প্রত্যাশিতভাবে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়া ইমরুল কায়েস, রুবেল হোসেন ও আবু হায়দার রনি বাদ পড়েছেন চুক্তি থেকে। চোটে পড়া সাদমান ইসলাম ও খালেদ হোসেনকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। সদ্য বিদায়ী ওয়ানডে অধিনায়ক আগেই বিসিবিকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাকে চুক্তিতে না রাখার জন্য। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসানও স্বাভাবিকভাবেই চুক্তিতে নেই। আর নতুন করে চুক্তিতে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল হোসেন শান্ত, এবাদত হোসেন, আফিফ হোসেন ও নাঈম শেখ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ