আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাকে ফোন করে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় কথা বলেছেন, তার রেকর্ড আছে। অসত্য বলার কারণ নেই।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের খুলনা বিভাগীয় বিশেষ যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আমি যেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা বলি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়টি জানিয়েছি। তারপরে এখানে অসত্য কথা কেন বলব। তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন। আমি তাকে ছোট করতে চাই না। আজকে দেখলাম ফখরুল ইসলাম বলেছেন আমাকে তিনি ফোন করেননি। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন সেটা রেকর্ড আছে। ডিজিটাল যুগে সবই বের করা যায়।
কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাকে মানবিক কারনে মুক্তি দেয়ার জন্য। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। তিনি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত। সরকারিভাবে মুক্তির বিষয় এটি নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই মামলা করেছে। মামলাটি আদালতে গড়াতে গড়াতে আজকের অবস্থায় এসেছে।
বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা আজকে কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ধরণা দিচ্ছে। আজকে তারা নতুন নতুন ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করছে। আন্দোলনে ব্যর্থ দলটি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন নতুন নাটক করছে। মূলত রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নাটক করছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল একজন ঝানু রাজনীতিবিদ কিন্তু ঝানু চিকিৎসক নন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তার বয়স বিচারে চিকিৎসকরা বলছেন তার অবস্থা ভালো। যে অবস্থানে থাকার কথা সেই অবস্থানে আছে। কোনো প্রকার অবনতি হচ্ছে না।
কাদের বলেন, সামনে মুজিববর্ষ। আমি পরিষ্কারভাবে একটি কথা বলে দিচ্ছি। কিছুক্ষণ আগে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন মুজিববর্ষ উদযাপন করবেন, একটা নিয়মের মধ্যে। কোনো প্রকার চাঁদাবাজি করা যাবেনা। মুজিববর্ষের নামে চাঁদাবাজির দোকান যেন না হয়। বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা বাড়াতে এসব চাঁদাবাজির দোকানগুলো বন্ধ করতে হবে।
কমিটি করার সময় সংগঠনের স্বার্থে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, দল শক্তিশালী হলে সরকারও শক্তিশালী হবে। ভেতরের কোন্দল, কলহ যেকোনো মূল্যে অবসান করতে হবে। দলের মধ্যে বিভেদ রেখে দলকে শক্তিশালী করা যায় না। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা আমাদের আছে, এটা সত্য। অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। এগুলো সমাধান করতে হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ