ছোটবেলা থেকে নেহাতই শখে যে কাজ করতেন, সেই কাজই যে একদিন জীবিকা হয়ে উঠবে, তা কে জানত! পুজোর মুখে সংসার সামলে প্রতিমা গড়ে চলেছেন রায়গঞ্জের অর্পিতা পাল। স্রেফ প্রতিমা তৈরি করছেন বললে অবশ্য ভুল হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার সেরা মৎশিল্পীদের অন্য়তম তিনি।
ছোটবেলায় প্রতিমা তৈরি করতে দেখেছেন বাবাকে। বাপের বাড়িতে বাবাকে কাজে টুকটাক সাহায্যও করতেন অর্পিতা। আর পাঁচটা শিল্পীর পরিবারের মেয়েরা যেমন করে, ঠিক তেমনি।
১৯৯৪ সালে বিয়ে হয়ে যায় অর্পিতার। স্বামী, রায়গঞ্জ শহরের কুমোরটুলি হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপল্লি এলাকার বিখ্যাত মৃৎশিল্পী গণেশ পাল। স্বামীকেও কাজে টুকটাক সাহায্য করতেন ছাপোষা ওই গৃহবধূ।
একদিন যে তাঁকে স্বামীর দেখানোর পথে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করতে হবে, তা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। কিন্তু বাস্তবে তেমনটাই ঘটল।
২০১৫ সালে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই মারা গেলেন গণেশ পাল। দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে আকুল পাথারে পড়লেন অর্পিতা। সংসার চালানোর জন্য শেষপর্যন্ত যোগ দিলেন পারিবারিক পেশাতেই।
প্রথমে ছোট মূর্তি দিয়ে হাতেখড়ি। আর এখন অবলীলায় বানিয়ে দশভূজার মূর্তিও বানিয়ে ফেলেন অর্পিতা। রায়গঞ্জই শুধু নয়, উত্তরবঙ্গে অনেক বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপেও শোভা পায় এই মহিলা মৃৎশিল্পী তৈরি করা দুর্গা প্রতিমা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ