তাঁর গড়া হাসপাতালের সামনে ফুলেআরা ইমাম
চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় আদরের ছোট ভাইকে নিউমোনিয়ায় মরে যেতে দেখে যার দরদি হৃদয় কেঁদে উঠেছিল তিনি ফুলেআরা ইমাম। কাজীপুর দূর্গম চরাঞ্চলের একজন সাহসি নারী। তার অদম্য ইচ্ছের কাছে হার মেনেছে যমুনার উত্তাল জলস্রোত।মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে এখন তিনি এগিয়ে চলেছেন আধুনিক হাসপাতাল গড়ার স্বপ্নের পথে। বুধবার সিঙ্গার-চ্যানেল আই সাধক কিংবদন্তি পুরস্কার লাভ করেছেন এই মহীয়সী নারী। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাও চ্যানেল আইয়ে এই মহীয়সী নারীর হাসপাতালের উপর সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি দেশের মানুষের নজরে আসেন।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের ২ লাখ জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষে ফুলেআরা ইমাম নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে নির্মান করেছেন ‘আমিনা দৌলতজামান মানবসেবা হাসপাতাল’। নাটুয়ারপাড়ার রেহাইশুড়িবেড় চরে ফুলেআরা ইমাম তার শ্বশুর শাশুড়ির নামে ২০০৫ সালে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালে আগ্রাসী যমুনার ভাঙ্গনের শিকার হয় হাসপাতালটি।
পরে ২০০৯ সালে বর্তমান স্থানে স্থানাšন্তরিত হয়ে চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়ন বাসির চিকিৎসা সেবার আশা ভরসার একমাত্র প্রতীকে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন ৬০-৬৫ জন রোগি আসে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। চ্যানেল আই ফুলেআরা ইমাম ও তার মানবসেবা হাসপাতালের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রচার করে। নজরে আসে দেশের ১৬ কোটি মানুষের। মনোনীত হন সিঙ্গার-চ্যানেল আই সাধক কিংবদন্তি পুরষ্কারের জন্য।
শুক্রবার সরেজমিন নাটুয়ারপাড়ার চরে মানবসেবা হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। কিংবদন্তি পুরস্কার পাওয়ায় তিনি সকল মিডিয়া এবং যারা এ কাজে সহযোগিতা করে চলেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
ফুলেআরা ইমামের স্বামী আলহাজ্ব ডাঃ ইমাম হোসেন জানান, খাজা ইউনুস আলীর নামে যেমন হাসপাতাল হয়েছে তেমনি আমার পীরদাদা খাজা বারীর নামে আধুনিক একটি হাসপাতাল করতে আমৃত্যু চেষ্টা করে যাবো। চরাঞ্চলের অনগ্রসর অসহায় জনগোষ্ঠির পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান
আলোকিত সিরাজগঞ্জ