সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিনাচাষে ভুট্টার আবাদ করে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার চরকুশাবাড়ি, নাদো-সৈয়দপুর, ধামাইচ, সবুজপাড়া, চড়হামকুড়িয়া, বিন্নাবাড়ি হামকুড়িয়া, মাগুড়া বিনোদ, ঘরগ্রাম, দিঘীসগুনা, কুন্দুইল, লালুয়ামাঝিরা, কুশাবাড়ি ও নঁওখাদা গ্রামে ঘুরে জানা গেছে, প্রতি বছর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চাষবিহীন কাদামাটিতে কৃষকরা ভুট্টা বীজ বপন করেন।
এতে কৃষকের খরচ হয় অর্ধেক। তাছাড়া অন্য ফসলের সাথে সাথী ফসল হিসেবে যেমন ছোলা, মুগ, সরিষা, কালাই ইত্যাদি ফসলের মধ্যে রসুন চাষ করে এলাকার কৃষকরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হচ্ছেন। তাড়াশ উপজেলায় এবছর এক হাজার তিনশত হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষ হয়েছে এক হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে। মাগুড়া গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমানসহ একাধিক কৃষক জানান, অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবছর ভুট্টা আবাদ ভাল হয়েছে, আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে। তাছাড়া আমাদের সুনীবির তদারকির ফলে কৃষক এবছর ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে আশা করছি। আর বোরো আবাদে যে খরচ হয় সে তুলনায় কৃষকের ব্যায় বহন করাই অনেক সময় কঠিন হয়ে পরে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ