বৃহত্তর চলনবিলের বিস্তৃীর্ণ জমিতে এ বছর মসূর ডালের আবাদ হয়েছে। মসুর ডাল চাষে এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় ও রাসায়নিক সার কীটনাশকের স্বাভাবিক মূল্য থাকায় এ বছর বছরে চলনবিলের কৃষক রেকর্ড পরিমান জমিতে মসূর ডালের আবাদ করেছেন।
স্থানীয় কৃষক আতাহার আলী জানান, তাদের আশা এবছরও মসূর ডালের আবাদে বাম্পার ফলনে কৃষক লাভবান হবেন। কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলে তাড়াশ, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়া, ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলী মাঠে প্রায় ১৮-থেকে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে মসূর ডালের আবাদ করা হয়েছে। চলনবিলের উর্বর পলি দোঁ-আশ মাটিতে কৃষক মসূর ডালের আবাদ করে এ বছরে লাভের মূখ দেখছেন।
তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হেমনগর গ্রামের কৃষক মোঃ ইব্রাহিম মন্ডল জানান, সাধারণত কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে জমিতে মসূর ডালের বীজ বোনা হয় এবং তা ফাল্গুনের মাঝামাঝিতেই জমিতে মসূর ডাল তোলা শুরু হয়। কৃষকেরা অল্প পরিশ্রম ও স্বল্প খরচে ৯০ থেকে ১০০দিনের মধ্যে মসূর ডালের ফলন পেতে পারেন। ভাল করে পরিচর্যা করলে বিঘা প্রতি ৬ থকে ৮ মন পর্যন্ত মসূর ডালের ফলন হয়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নার লুনা বলেন, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং মসূর ডালের বাম্পার ফলনের কারনে সর্বোপরী ভাল দাম পাওয়ায় চলনবিলের কৃষক মসূর ডালের আবাদের প্রতি ঝুকে পরেছেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ