যে দিকে তাকানো যায় শুধু পানি আর পানি। মাঝখানে সবুজে ঘেরা একটি চর। এটি যমুনার কাগমারী চর নামে পরিচিত । শ্যালো চালিত নৌকা ছাড়া এই চর থেকে কোথাও যাতায়াতের উপায় নেই। একদিকে করোনা অন্যাদিকে বন্যা এ কারণে বিপাকে পড়েছে চর এলাকার মানুষ।
এই দুর্গম চরে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অ,আ, ক,খ কাগমারী হাজির "ডু সামথিং ফাউন্ডেশন" এর স্বেচ্ছাসেবীরা। "ডু সামথিং ফাউন্ডেশন" এর উদ্যোগে এবং সামিট কমিনিউকেশনের অর্থায়নে কাগমারী অ, আ, ক, খ স্কুল মাঠে ৫০০ শিক্ষার্থী ও পরিবারের মাঝে চাল দশ কেজি, ডাল এক কেজি, লবণ আধাকেজি , তেল আধা কেজি, সাবান দুইটি স্যালাইন পাঁচটি সহ প্রায় ৭ দিনের খাদ্যসামগ্রী দেন। এসব খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান চরের মানুষ।
কাগমারী এলাকাটি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায়। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষই মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন।
রেনু বেগম নামে একজনের কাছে কাছে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা কি তারা তেমন কিছুই জানে না। কিন্তু তাদের বাড়িঘর যে নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে এটা জানে আর এদিকে তাদের ছেলেমেয়েদের একটু খাবারের সমস্যায় রয়েছে। ডু সামথিং ফাউন্ডেশন যে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে তাতে কয়েকদিন খাওয়া যাবে যার জন্য আমাদের মতো অসহায় মানুষ খুবই খুশি।
কীভাবে বিচ্ছিন্ন এই চরের মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গেলেন, এ বিষয়ে "ডু সামথিং ফাউন্ডেশন" এর স্বেচ্ছাসেবী মো.মোতাহের হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জ সদর থেকে যমুনার কাগমারী চরটি কয়েক কিলোমিটার দূরে। যখন জানতে পারি, এই চরের মানুষ খাদ্যের জন্য অনেক কষ্টে দিন পার করছেন, তখন "ডু সামথিং ফাউন্ডেশন " এর পরিচালক ডাক্তার নাজমুল ইসলামের সাথে কথা বলি। তখন সে সেখানে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে বলেন ।
ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার সকাল আটটার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থেকে ৫০০ পরিবারের জন্য প্রথমে ট্রাকে খাদ্যসামগ্রী তুলি এর পর সিরাজগঞ্জ মতির ঘাট থেকে শ্যালো চালিত বড় নৌকায় করে অ, আ, ক, খ স্কুলের সহকারী শিক্ষক এস এম আশরাফুল ইসলামসহ প্রায় পাঁচ জন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে কাগমারী চরে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেই। ২টার পরে সেখানে পৌঁছাই। যখন তাঁদের কাছে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া শুরু করি, তখন অনেকেই আমাদের জড়িয়ে ধরে তাঁদের কষ্টের কথা বলতে থাকেন এবং আমাদের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তারা বেশ খুশি ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ