শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের রায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপথগামীদের জন্য বড় মেসেজ

চট্টগ্রামের রায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপথগামীদের জন্য বড় মেসেজ

১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা মামলায় তৎকালীন পাঁচ পুলিশ সদস্যের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ৩২ বছর পর এ রায়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘অতি উৎসাহী’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) ইসমাইল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের অ্যাকশন

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কোনো বাহিনী কিংবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন অতি উৎসাহী হয়ে ভবিষ্যতে কোনো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে না পারে, এই মামলার রায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

১৯৯৮ সালে দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর থেকে এ মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী কাজী ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আদালতের এ পর্যবেক্ষণ আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বড় মেসেজ। তারা যেন অতি উৎসাহী হয়ে কোনো পদক্ষেপে না যান সে বিষয়ে আদালত সতর্ক করেছেন।’

৩২ বছর আগের ওই ঘটনায় যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই পুলিশের সাবেক সদস্য। তাদের মধ্যে একমাত্র গোপাল চন্দ্র পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা বাকি চারজন হলেন- মমতাজ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া ও আব্দুল্লাহ।

একই রায়ে ‘বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টির’ দায়ে দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারায় পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া মামলার মূল আট আসামির মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন- চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কনস্টেবল বশির উদ্দিন ও আব্দুস সালাম।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা’ নামে পরিচিত ওই ঘটনার চার বছর পর ১৯৯২ সালে আইনজীবী শহীদুল হুদা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৪৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরায় প্রাণ ফিরে পায়। আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্তের ভার পড়ে সিআইডির ওপর। সিআইডি ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে আদালতের নির্দেশে আবারও অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশের আট সদস্যকে আসামি করে দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছিলেন মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন কুমার বিশ্বাস, স্বপন চৌধুরী, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ, শাহাদাত, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া ও মো. কাসেম।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই