শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘরবন্দী সময় কাটান অন্য রকম

ঘরবন্দী সময় কাটান অন্য রকম

হঠাৎ করেই এল এই অজানা অদৃশ্য শত্রুর হানা। এরপর একসময় হতে হলো ঘরবন্দী। স্কুল–কলেজ বন্ধ। চার দেয়ালের মধ্যে আটকে গেল জীবন।

খবরের কাগজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ফেসবুক—পর্দা বা স্ক্রিনে চোখ আটকে যাওয়াও একসময় একঘেয়ে হয়ে আসে। সে সঙ্গে বাড়ে দুর্ভাবনা, অনিশ্চয়তা, মনের অস্থিরতা।

একটু অন্য রকম হোক নয়া জীবন। দিনলিপি ছকে বাঁধা হোক ভালো করে। স্নান, খাওয়া, ঘুম হোক নিয়ম করে। নিয়ম মেনে। হোক প্রচুর পানি পান, ঘরের ভেতরে একটু ব্যায়াম। ঘাম ঝরলে ভালো। বন্ধু আর প্রিয়জনের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা হোক।

অনলাইন গেম, নেটফ্লিক্স আর কত? স্ক্রিন টাইম মানে পর্দায় কাটানো সময়ও একঘেয়ে হচ্ছে।

স্মার্টফোনের ডিজিটাল পর্দায় এত নির্ভরতা কেন? চলন্ত অক্ষরে চলতে চলতে চোখও বিদ্রোহ করে।

কতদিন ঘরের বাইরে পা ফেলা হয়নি। অনেকে ইউটিউবে দেশ–বিদেশে মনে মনে ভ্রমণ করছেন। মন হোক মেঘের সঙ্গী।

ঘরে ভালোমন্দ রান্না করুন স্বামী–স্ত্রী মিলে। অনেকের ঘরবন্দী বিনোদন হলো ঝগড়া। তবে তা যেন ক্ষণকালের হয়, আর এরপর মিটমাট। মধুর বচন। অভিমান ভেঙে খানখান। অনেকের পুরোনো প্রেম খুঁজে পেতে পারে নতুন ভাষা। গা–ঘেঁষাঘেঁষি না করেও প্রেম উদ্‌যাপন—যাপিত জীবনে নতুন আবিষ্কার।

নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হতে পারে ভার্চ্যুয়ালি। গাঁটছড়া বাঁধার অনুষ্ঠান এখন বন্ধ প্রায়, তবে অনলাইন ম্যাট্রিমনি চলতেই পারে। পাত্র খোঁজাখুঁজি আর পছন্দ হলে ফোনালাপ, একে অপরের সঙ্গে মিল–অমিল ঝালিয়ে নেওয়া।

পরিবারকে কাছে পেলেন, আর সেই পাওয়া যেন মধুর হয়। ভালোমন্দ ভাগ করে নেওয়ার অনেক সময় পাওয়া গেল। সবার সঙ্গে থাকাটা যেন হয় কোয়ালিটি টাইম।

ঘরবন্দী সময়ে অনেকেরই প্রিয় সঙ্গী হতে পারে বই। বই কিনে রেখেছেন পড়া হয়নি, পড়ে ফেলুন। নয়তো ট্যাবে নামিয়ে নিন পছন্দের বই।

এ সময় বাড়ির কাজ আর বাড়িতে থেকে কাজ দুটোর মধ্যে মিল রাখতে হয়। সবার সহযোগিতা চাই সে জন্য।

নিজের পুরোনো প্রতিভা, পুরোনো বন্ধুত্ব চাঙা করার সময় এখন। মন দিন সেদিকে, চাপ কমবে। ছবি আঁকা, গান করা, চুলের নতুন কেতা তৈরি করা। অনেকে করোনাভাইরাসের আদলে সাজান চুল, অন্য রকম কদম ফুল। সৃজনশীল খেয়ালকে উসকে দেওয়ার সময় এখন। শিল্প সৃষ্টি চলুক, প্রতিভা ডানা মেলুক। ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ঘরবন্দী হওয়ার কাল শেষ হবে একদিন, আর এসব কর্ম হবে স্মৃতি।

কিন্তু উৎসব? চড়া রোদ, ঘামে ভেজা শরীর, ভিড়। খোঁপাতে গোঁজা ফুল। সে উৎসব ধরা দিক ঘরে নিজের মনের মাধুরী হয়ে। গান গাওয়া ঝালিয়ে নিন। স্নানঘরে হলেও মন্দ কি? বাড়ির ছাদে বা বসার ঘরে হোক না উৎসব।

কিছু সময় দিন প্রকৃতিকে, বাইরে বারান্দায়, তবেই দেখবেন যে গাছের পাতা ঘন হয়ে উঠেছে, নীল আকাশে মেঘের ভেলা। বারান্দার একচিলতে জায়গায় কিংবা ছাদে বাগান করুন, টবের গাছগুলোর যত্ন নিন। দেখবেন ছোট ছোট এসব দিচ্ছে বিস্তর আনন্দ। পথের বাঁকে অজানা ভয়, তাতে কী, ভয়কে করুন জয়। পুরোনো ইচ্ছাগুলো উসকে দিন। আঁকুন, গান করুন, যন্ত্রসংগীত শিখুন, শিখুন বিদেশি ভাষা। একদিন আসবে সুদিন, সময় অপেক্ষার। সৃজনশীলতার সঙ্গে সচেতনতার পাঠ হোক। অনেক তরুণ অ্যানিমেশন ছবি তৈরি করছেন। চমৎকার। করোনা সচেতনতা নিয়ে।

বুঝবেন এবার, জীবনের চাহিদা অনেক কম, আমরা শুধু একে প্রাচুর্যের ভারে তাকে নত করি। শিখুন নতুন খেলা বা কৌশল, দাবা, পিয়ানো, ফরাসি ভাষা। অনলাইনে কোর্স করতে পারেন, ধ্যানচর্চা, যোগব্যায়াম। করুন শব্দজব্দ, সুডোকো, ক্রসওয়ার্ড, পাজল।

সেরে উঠুক হে পৃথিবী। বুক ভরে নিশ্বাস নিতে চাই। এই তো সুড়ঙ্গের শেষে আলোর রেখা দেখি।

ঘোষণা পাঠকের প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর

পাঠকের প্রশ্ন পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে। ই–মেইল ঠিকানা: [email protected] (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’)

ডাক ঠিকানা: প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’) ফেসবুক পেজ: fb.com/Adhuna.PA

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

শাহজাদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা
সিরাজগঞ্জে পুরোদমে চলছে কৃষিবান্ধব সোলার প্রকল্পের কাজ
সিরাজগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
বেলকুচিতে বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় টেক্সটাইল মিলকে জরিমানা
বেলকুচিতে পুষ্টি বিষয়ক সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
গবেষণায় আরো জোর দিতে বললেন কৃষিমন্ত্রী
রংপুর ও ভোলার চরের মানুষদের সুখবর দিলেন পরিবেশমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক