মন ও শরীরকে চাঙা করতে চায়ের জুড়ি নেই। তাইতো সকাল কিংবা বিকেলে এক কাপ চা অনেকেরই প্রতিদিনের রুটিন। অনেকেই আবার এর চাইতে বেশিও চা পান করে থাকেন। তবে মাত্রাতিরিক্ত চা পান মোটেও ঠিক নয়।
জানলে অবাক হবে, চীনের গবেষকরা দাবি করছেন- চা খেলে শুধু মনই সতেজ থাকে না, হৃদযন্ত্রও ভালো থাকে। চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্স’ এবং ‘পিকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজের এপিডেমিওলজি’ বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. জিনইয়ান ওয়াং এ তথ্য জানিয়েছেন। সাত বছর তিন মাস ধরে এ গবেষণা চালানো হয়।
তিনি বলেন, যেসব ব্যক্তি নিয়মিত চা পান করেন, তাদের হৃদসংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। এছাড়া মৃত্যুর কারণ হতে পারে এরকম রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। যা দি ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় থেকে চা পানের উপকারিতা সম্পর্কে ওয়াং আরো বলেন, যারা গ্রিন টি পান করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে চা পানে অভ্যস্ত তারা এর উপকারিতা বেশি লাভ করেন।
১ লাখ ৯০২ অংশগ্রহণকারীর ওপর এ গবেষণা করা হয়। এরা সবাই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক অথবা ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। গবেষণায় অংশ নেয়াদের দুই দলে বিভক্ত করা হয়। চা পানে অভ্যস্ত (সপ্তাহে অন্তত তিন কাপ বা তার বেশি) এবং কখনোই করেন না বা মাঝে মাঝে চা পান করেন (সপ্তাহে তিন কাপের কম) এমন।
গবেষণার ফল যারা চা পান করতেন না, তাদের তুলনায় চা পানে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমেছে ৫৬ শতাংশ। সাধারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে ৩৯ শতাংশ। আর মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন রোগের সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কমে যায়। যে কারণে চা পান অনেক উপকারী তা হলো-
> ‘ফ্লাভানয়েডস’য়ের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো চা। বিশেষ করে গ্রিন টি পান করতে পারেন।
> চায়ে রয়েছে ‘এপিক্যাটেচিন’, ‘ক্যাটেচিন’সহ বিভিন্ন ধরনের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা শরীরের জন্য ভালো।
> চা ‘অক্সেডেটিভ স্ট্রেস’, প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ধমনীর ভেতরে উপরিভাগের কোষের স্তর এবং হৃৎপিণ্ডের পেশি যে কোষ দিয়ে গঠিত তা ভালো রাখে।
> যারা গ্রিন টি পান করেন তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোক ও মৃত্যুসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে এমন কোনো উপকারিতা কালো বা অন্যান্য চায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়নি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
