জাইমার রাজনীতিতে পদার্পণের খবরে জোবায়দা-তারেকের দ্বন্দ্বে নতুন করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মকে বিএনপির নেতৃত্বের সুযোগ না করে দেয়ার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন তারেক-জোবায়দা দম্পতি। তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে জাইমা রহমানকে রাজনীতিতে সুযোগ করে দিতে রাজি না হওয়ায় খোদ দলের ভেতর সমালোচিত হচ্ছেন এই দম্পতি।
লন্ডন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টির সত্যতার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জাইমা রহমানের রাজনীতি করার ইচ্ছার প্রেক্ষিতে তারেক-জোবায়দার বাধা প্রসঙ্গে লন্ডন বিএনপি নেতা আবদুল মালেক বলেন, এটি সত্য যে-তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান বিএনপির রাজনীতিতে চমক সৃষ্টি করতে খুব বেশি সফল হননি। তার মানে এই নয় যে উনারা ব্যর্থ। বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপট ও তাদের অতীত ইতিহাস এবং মাথার উপর দোদুল্যমান বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার বিবেচনায় জাইমা রহমানকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করতে চাওয়াটা নিশ্চয়ই অপরাধের কিছু নয়।
তিনি আরো বলেন, যদিও তারেক-জোবায়দা লেখাপড়া শেষ করার আগ পর্যন্ত জাইমাকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে চান না। অথচ রাজনীতি কিন্তু ছাত্রাবস্থা থেকেই চর্চা করার বিষয়। জাইমার মধ্যে আমরা বেগম জিয়ার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ছাপ দেখেছি। সুতরাং দ্বন্দ্ব ও ভয় অতিক্রম করে জাইমাকে রাজনীতিতে আসার পথে তারেক-জোবায়দা দম্পতি সহায়তা করবেন বলে আশাবাদী আমরা।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে যুক্তরাজ্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন বলেন, বিএনপির নব জাগরণের জন্য জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম এখন শেষ ভরসা। জাইমা যথেষ্ট প্রাপ্ত বয়স্কা হয়েছেন। তাকে বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত করার সময় এসেছে। জাইমা তো জিয়া পরিবারের সম্পদ। সুতরাং তাকে সুযোগ করে দেয়ার অর্থ এই নয় যে নিজেদের ক্ষমতা কমে যাবে। বরং ক্ষমতার হাতছানি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে জাইমাকে আগামীর নেতা মেনে নিলে তারেক-জোবায়দার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে নেতা-কর্মীদের। রাজনীতিতে বিসর্জন দেয়ার ইতিহাস খুব কম। তারেক-জাইমা সেই ইতিহাসের অংশ হলে বিএনপির জন্য এটি একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ