শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাজিপুরে বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ জনপদের কাছারি ঘর

কাজিপুরে বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ জনপদের কাছারি ঘর

প্রায় সকল গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই ছিল কাছারি ঘর। আর এই কাছারি ঘর ছিল গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু কালের বিবর্তনে এই কাছারি ঘর সংস্কৃতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে। 

গেস্টরুম বা ড্রয়িং রুম আদি ভার্সন কাছারি ঘর এখন আর গ্রামীণ জনপদে দেখা যায় না। মূলবাড়ি থেকে একটু বাইরে আলাদা খোলামেলা ঘর। অতিথি, পথচারী কিংবা সাক্ষাতপ্রার্থী এই ঘরে এসে বসেন। প্রয়োজনে এক-দুই রাত যাপনেরও ব্যবস্থা থাকে কাছারি ঘরে। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শিমুলদাইড় গ্রামের অধ্যক্ষ মরহুম লুৎফর রহমানের পুত্র আতিকুর রহমান মুকুলের বাড়ির সামনে এমন একটি কাছারি ঘর দেখা যায়। বাড়ির জনৈক প্রবীণ ব্যক্তিত্ব নাদু বলেন, আমাদের বাড়ি ও পুরনো বাড়ির একটি।

আধুনিকতার ছোঁয়া এই বাড়ির অনেক ঘরে লাগলেও পুরনো সংস্কৃতির এই কাছারি ঘর আমরা এখনো স্মৃতি হিসেবে ধরে রেখেছি। কাছারি ঘর ছিল বাংলার অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক। কাঠের কারুকাজ করা টিন অথবা শনের ছাউনি থাকত কাছারি ঘর। আলোচনা সালিম বৈঠক গল্প আড্ডার আসর বসত কাছারিঘর ঘিরে। বর্ষাকালে কাছারি ঘরে বসে পুঁথিপাঠ, শায়ের শুনে মুগ্ধ হতেন শ্রোতা।

পথে চলাচলরত পথচারীরা কাছারি ঘরে একটু জিরিয়ে নিতেন। বিপদে পড়লে রাতযাপনের ব্যবস্থা থাকত এখানে। বাড়ির ভিতর থেকে খাবার পাঠানো হতো কাছারি ঘরের অতিথির জন্য। আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার) কাছারি ঘরেই থাকতেন।

সকাল বেলা মক্তব হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই কাছারি ঘর। এখন আর কাছারি ঘর তেমন চোখে পড়ে না। তবু গ্রামে এখনো দেখা যায় কাছারি ঘর। অনেকেই বাপদাদার ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছেন কাছারি ঘর। এরকম আরও একটি কাছারিঘর পাওয়া গেল শুভগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুর লুৎফর রহমার আবুল তালুকদারের বাড়িতে। ঐতিহ্যবাহী এই আবুল তালুকদারের বাড়িতে এখনো একটি কাছারি ঘর আছে। ঘরটি আগে সনের ছাউনি ছিল। ছিল কাঠের দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। শন এখন পাওয়া যায় না। তাই টিন আর ইটের দেয়াল দিয়ে কাছারিঘরটির অস্তিত্ব¡ টিকিয়ে রাখা হয়েছে।

কাজিপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টি এম আতিকুর রহমান নান্নু জানান, পুরনো ঐতিহ্য হিসেবে কাছারিঘর সংরক্ষণ করা হচ্ছে এখনো অনেক গ্রামের বাড়িতে। পূর্ব পুরুষদের নানা স্মৃতি বিজড়িত এই কাছারিঘর সত্যিই প্রাচীনতার বার্তা বহন করে। ঈশা খাঁর আমলে কর্মচারীদের খাজনা আদায়ের জন্য অনেক কাছারি ছিল এই অঞ্চলে। পরবর্তীতে আভিজাত্যের প্রতীক। তিনি বলেন আমাদের ও প্রয়োজন সামর্থ্য অনুযায়ী এই কালের স্মৃতি ধরে রাখা।  

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর