শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য গাইলেন চার তারকা শিল্পী

করোনায় সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য গাইলেন চার তারকা শিল্পী

করোনায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকার শেষ নেই। মানুষ যখন করোনা আতঙ্কে ঘরে, পুলিশ তখন সব ভয় উপেক্ষা করে বাহির সামলেছেন। তাই আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতদের সম্মান জানিয়ে গাইলেন জনপ্রিয় চার তারকা শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, তাহসান খান ও কোনাল।

‘বাংলাদেশ পুলিশ’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ, সুর-সংগীত করেছেন ‘চিরকুট’ ব্যান্ডের ইমন চৌধুরী। সার্বিকভাবে এ গানের তত্ত্বাবধানে আছেন পিকলু চৌধুরী। তিনি বললেন, প্রত্যেকে শিল্পী গানটি স্বেচ্ছায় ও আন্তরিকতা দিয়ে গেয়েছেন। যেমন তাহসান আছেন আমেরিকায়। সেখান থেকে বলা মাত্রই রেকর্ডিং করে পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, এছাড়া বিশ্বজিৎ দাদা, সামিনা আপা, কোনাল আপা যে যার সুবিধামত স্টুডিও থেকে গানটি করে পাঠিয়েছেন। শিগগিরই ভিডিও নির্মিত হবে। ভিডিওতে করোনাকালে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং শিল্পীদের উপস্থিতিও থাকবে। গানটি ঈদে সবগুলো টিভি এবং পুলিশসহ বিভিন্ন ফেসবুক পেজে প্রকাশ হবে।

করোনায় পুলিশের অবদানের এ গান নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সম্মুখযোদ্ধাদের নিয়ে গানটি করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনাকালীন সময়ে যে মানুষগুলো আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই মূলত এই উদ্যোগ।

গুণী এই শিল্পী বলেন, চিরকুটের ইমনের কম্পোজিশন দারুণ হয়েছে। আমাদের ভয়েস নেয়া শেষ। এখন বাকি কাজ শেষ হলেই গানটি সবাই দেখতে ও শুনতে পারবেন।

যারা এমন কঠিন সময়ের সম্মুখ যোদ্ধা তাদের প্রতি এ গানটির মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে তাহসান বলেন, বিশেষ করে দায়িত্ব পালনের সময় স্বাস্থ্যসেবা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা সবচেয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনুপ্রেরণা এবং মানসিক শক্তির জন্য আমরা গান করেছি, আর তো তেমন কিছু করতে পারছি না। আসলেই তারাই এখন আসল যোদ্ধা।

চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের শিল্পী কোনাল মনে করেন করোনাকালীন পুলিশের কন্ট্রিবিউশন ভোলার মতো নয়। তিনি বলেন, তারা দেশের জন্য কাজ করছেন এবং আমরা তাদের জন্যই গাইলাম। নিজেরা আক্রান্ত হলেও সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় পুলিশ ঝাঁপিয়ে কাজ করেছেন। তাদের জন্য গান করতে পারাটা ভীষণ ভালো লাগার ব্যাপার। মিউজিসিয়ান ইমন ভাই যখন আমাকে গানটির কথা জানালেন, শুনেই আগে পিছে না ভেবে এক বাক্যে হ্যাঁ বলে মন খুলে গেয়েছি।

গানটির গীতিকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, করোনায় পুলিশের ভূমিকা ফোকাস করে গানটি লিখেছি।

দেশের পুলিশের জন্য গান করতে পারাটা সত্যি আনন্দের বলে মনে করেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী। তার কথা, পুলিশ বাহিনি নিজেদের জীবন বাজী রেখে আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। গানটি করার মূল উদ্দেশ্য তাদের সম্মান জানানো এবং অনুপ্রেরণা দেয়া। যে চারজন শিল্পী গান গেয়েছেন তারা প্রত্যেকেই ছিলেন যত্নশীল। পিকলু ভাইও কাজটির জন্য পরিশ্রম করছেন। গানটি সকলের কাছে ভালো লাগলে আমার শ্রম স্বার্থক হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর