ইউরোপের দেশ স্পেনে আবারো করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করারও নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সরকার।
রোববার মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
রোববার রাত থেকে এই জরুরি অবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। তবে একমাত্র ক্যানারি আইল্যান্ডকে এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। এই ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ ব্যতীত অন্যান্য সব অঞ্চলে রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, এই জরুরি অবস্থা কমপক্ষে দুই সপ্তাহ স্থায়ী থাকবে। এরপর পরবর্তীতে প্রয়োজনে এর মেয়াদ বাড়াতে সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। নতুন করে জারি করা এই জরুরি অবস্থা আগামী বছরের মে পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সানচেজ।
টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, বর্তমানে একটি কঠোর পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছি আমরা। গত অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সময় এটি।
তিনি আরো বলেন, যত বেশি চলাফেরা বাড়বে তত বেশি সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই আসুন আমরা ঘরে থাকি।
এর আগে, গত বুধবার প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে স্পেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ অতিক্রম করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী সানচেজ স্বীকার করেছেন যে, পরীক্ষার ঘাটতি থাকায় ও অন্যান্য কারণে করোনার প্রকৃত সংখ্যা এর থেকেও তিনগুণ বেশি হতে পারে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্পেনের রাজ্যগুলোতে লকডাউনও আরোপ করা হতে পারে। এছাড়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় আরোপ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্র- আল জাজিরা
আলোকিত সিরাজগঞ্জ