শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাস: সন্তানকে আদর করার সময় মেনে চলবেন যেসব সতর্কতা

করোনাভাইরাস: সন্তানকে আদর করার সময় মেনে চলবেন যেসব সতর্কতা

বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই টলমল করে নতুন বেরনো দু'টি বা চারটি দাঁত বের করে হাসতে হাসতে হাত দুটোকে সামনের দিকে বাড়িয়ে যখন ছুটতে ছুটতে আসে কোলে নেয়ার আকুতি নিয়ে, কোনও বাবা-মায়ের পক্ষেই কি সম্ভব এমন আকুতিতে সায় না দেয়া? নিজেকে সামলাতে না পেরে কোলে নিয়ে, দিয়েই দিলেন অনেকগুলো চুমু। আর করোনা সংক্রমণের বাজারে সেখানেই বিপদ! 

করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধে বার বার বলা হচ্ছে বেশি করে হাত ধোয়া, বাইরে থেকে এসেও আর এরপর গোসল করা, গায়ের কাপড় ধুয়ে নেয়া, সোশাল ডিস্ট্যান্সিং-এর কথা। সেই অবস্থায় চুমু খাওয়া একদম উচিত নয়। 

করোনাভাইরাস লালারসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। শিশুরা প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করতে পারে কোনও রোগ লক্ষণ ছাড়াই। সে ক্ষেত্রে তাদের মুখ ও লালারসের সংস্পর্শে বড়দের চোখ, নাক, মুখ এলে সংক্রমণের আশঙ্কা তো থাকেই।

উল্টো দিক দিয়ে জিনিসটা যদি ভেবে দেখি। লকডাউনের সময়েও আমাদের অনেককেই কিন্তু একটু আধটু বাইরে বেরতেই হচ্ছে, হয় জীবিকার কারণে, নয়তো অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র কিনতে। যদি আমাদের শরীরে কোনও ভাবে জীবাণু প্রবেশ করে যায়, সবার প্রথম কিন্তু তা বাসা বাঁধবে নাক, নেসো ফ্যারিংস আর গলাতেই। সেক্ষেত্রে কথা বলতে বলতে মুখ এর কাছে মুখ নিয়ে আদর করার সময় বড়দের শরীর থেকেও ছোটদের শরীরে সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে জীবাণু। আর ওদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকার কারণে সহজেই ধরে যেতে পারে এই রোগ।

আদর করার সময় গালে ও মুখে হাতের স্পর্শ থেকে করোনাভাইরাস হাত থেকে শিশুর গালে গেল, আর সেখান থেকে পরবর্তী কালে নাক, চোখ, মুখে প্রবেশ করতে পারে। আদর করার সময় কথা বলতে বলতেই সাধারণত সবাই আদর করে। এই সময় মাস্ক নিশ্চয়ই কেউ পরেন না। কথা বলার সময় যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা অত্যন্ত সহজে পৌঁছে যায় শিশুটির নাক ও মুখে। সেখান থেকেই সোজা ঢুকে পড়ে শ্বা'সনালীতে।

আদর করার সময় কোনওভাবে লালা নাক মুখে লেগে সংক্রমিত হতে পারে রোগ। খুব সহজেই ছোটরা কেঁদে ফেলে। দু'গাল বেয়ে বয়ে চলে অশ্রুধারা। আমরা অনেক সময় হাত দিয়ে মুছিয়ে দিই চোখের জল বা শাড়ির আঁচল তো আছেই। কিন্তু একবারও কি তার আগে ভাবি যে আমার হাত বা শাড়ির আঁচল কতটা পরিষ্কার?

কয়েকটি সতর্কতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিলে হয়তো আমরা সবাই সুস্থ থাকতে পারি আর ভাল রাখতে পারি আমাদের প্রিয় কচিকাঁচাদের। যেমন, বাইরে গেলে জামাকাপড় পাল্টান ও হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে তবে শিশুদের কাছে আসুন। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সঙ্গে কখনও কখনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখও পরিষ্কার করে নিন। বিশেষ করে আদর করার আগে-পরে।

ফ্লাইং কিস করতে শিখিয়ে দিন। এই সময়ে মুখে মুখ লাগিয়ে চুমু খাওয়ার চাইতে ওটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। যদি চুমু দিতেই হয়, চেষ্টা করুন মুখের কাছে মুখ না নিয়ে যেতে। মাথা পিঠ ঘাড়, এই সব জায়গায় দিন হামি। মুখ দিয়ে লালা বেরিয়ে এলে তা হাত, শাড়ির আঁচল বা সালওয়ারের‌ ওড়নাতে না মুছে টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন। চোখের জল মোছাতেও টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই