কমপক্ষে তিনবার পাতলা মলত্যাগ হলেই ডায়রিয়া বলে ভাবা হয়। এসময় ঘন ঘন পাতলা খাবার খেতে হয়। এ কথা প্রায় সবারই জানা। আর ডায়রিয়া হলেই অনেকে ফ্লাজিল বা ওরস্যালাইনের উপর ভরসা করেন। সব ওষুধেরই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে, এজন্য জেনে বুঝে এবং সঠিক সময়ে ওষুধ গ্রহণ করা জরুরি।
জানেন কি? ডায়রিয়া হলে মুহূর্তেই তা সারাতে পারেন ভাতের মাড়ে। জার্মান সমীক্ষা অনুসারে, ভাতের মাড় অত্যন্ত হাইড্রেটিং পানীয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই ভাতের মাড় ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী। মুহূর্তেই এটি পান করলে শরীরের আর্দ্রভাব ফিরে আসবে ও ডায়রিয়া কমে যাবে। ঘরোয়া এই উপায়ে মাত্র কয়েক মিনিটেই ডায়রিয়া রোধ করতে পারেন-
যেভাবে ভাতের মাড় প্রস্তুত করবেন-
১৮০ গ্রাম অর্থাৎ এক কাপ চাল ধুয়ে তার সঙ্গে ছয় কাপ পানি মিশিয়ে চুলায় বসান। একবার পানি ফুটতে শুরু করলে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য কম তাপে ভাত সিদ্ধ হতে দিন। এরপর নামিয়ে চাল ছেঁকে ভাতের মাড়টুকু ঠাণ্ডা করে পান করুন। এভাবে দিনে অন্তত তিনবার পান করলেই ডায়রিয়া দ্রুত কমে যাবে।
এর পাশাপাশি টকদই, আচার, লাল বাঁধাকপিও খেতে পারেন। এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্লুবেরি, ওটমিল, মসুর ডাল ও গাজর খেতে পারেন। এসব খাবার সহজেই হজম হয়।
সূত্র: টিপসঅ্যান্ড্রিটকস
আলোকিত সিরাজগঞ্জ