মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এক মাসে দেড় হাজার টন বোরো ধান সংগ্রহ

এক মাসে দেড় হাজার টন বোরো ধান সংগ্রহ

চলতি বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন ধান এবং ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় এক মাসে মাত্র দেড় হাজার টনের মতো বোরো ধান ও ১৬ হাজার টনের মতো চাল কিনতে পেরেছে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের সর্বশেষ ২০ মে’র খাদ্যশস্য সংগ্রহের নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বোরো ধান গত ২৬ এপ্রিল থেকে কেনা শুরু হয়েছে। ৭ মে থেকে শুরু হয়েছে চাল সংগ্রহ। ধান-চাল সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট।

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার বোরো মৌসুমে প্রায় ২০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হিসেবে মনে করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গত এক মাসে সংগ্রহ চিত্রে এর প্রমাণও মিলেছে।

তবে খাদ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রথম দিকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমই হয়, এছাড়া ঈদ থাকায় ধান-চাল সেভাবে সংগ্রহ হয়নি। শেষের দিকে অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত সংগ্রহের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে।

বোরো সংগ্রহের ইতিহাসে এবারই সরকারিভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান কেনা হচ্ছে। বোরোর ধান-চাল কেনার লক্ষ্য অর্জন সফল করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তা চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

কৃষকের উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণসহ খাদ্যশস্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা, নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি মৌসুমে সরকারিভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়।

এ বছর বোরো মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করার জন্য ব্যক্তিগত সহযোগিতা কামনা করে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ডিসিদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য অধিদফতরের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর এবং ইউনিয়নওয়ারী লটারির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও লিখেছেন. কোনো ক্রমেই যেন কৃষক নন এমন ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত না হয় এবং কৃষক ছাড়া অন্য কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যেন সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ না করতে পারে সে বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।

ডিসিদের অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণ ও অ্যাপে কৃষক নিবন্ধনে সহায়তা প্রদানের জন্য ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের নির্দেশনা দিতেও বলেন খাদ্য সচিব। এসব বিষয়ে ডিসিদের কার্যকরী ভূমিকা চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুম সফল করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন নাজমানারা খানুম।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ