তথ্যসূত্র বলছে, কারাগারে যাওয়ার আগে ২০১০ সাল থেকে গুলশানে দেড় বিঘার বিশাল বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাবার পর থেকেই দলের নেতা কিংবা পরিবার ওই বাড়ির খোঁজ নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাইলেও তারা এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বরং তারা একে অন্যের উপরে দোষ চাপিয়েছেন।
এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, বাড়ি ভাড়া, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ বিল মূলত রিজভীর তদারকি করা কথা ছিলো। তিনি যেহেতু পার্টি অফিসেই থাকেন, তাই সেখান থেকে রিজভীর তত্ত্বাবধায়ন করার কথা। কিন্তু তিনি যে সেটি করছেন না- সেটা তো আমাদের জানার কথা না।
মওদুদ আহমেদ আরও বলেন, যদিও প্রতিমাসে দলীয় তহবিল থেকে ম্যাডামের বাড়ি ভাড়াসহ ইউটিলিটি বিলের একটি খরচ দেখানো হয়। সেটি আসলে কোথায় যায়- এখন সেই প্রশ্ন দলে দানা বেধেছে দলের অভ্যন্তরে। ম্যাডামের বাড়ির বকেয়া বিল বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পাওয়ার পর আমরা ইমেজ সংকটে পড়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে আইনি লড়াইয়ে হেরে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়েন খালেদা জিয়া। তখন গুলশানে আগের বাড়ির পাশেই ভাড়া নেন ফিরোজা। সেখানে তিন বছরের জন্য ওঠেন তিনি। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটিই ফিরোজা। ২০১০ সালে অগ্রিম ১০ লাখ টাকায় এই বাড়িটি ভাড়া নেন খালেদা জিয়া। পরে, ২০১১ সালে ৩ বছরের জন্য বাড়িটি ভাড়া নেন বিএনপি নেতা মোছাদ্দেক আলী ফালু। তখন এর মাসিক ভাড়া ধরা হয় তিন লাখ টাকা। ভাড়া বাড়ি হিসেবে প্রথম দফায় তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এরপর কয়েকদফা নবায়ন করা হয় চুক্তির। সে চুক্তিও শেষ হয় পাঁচমাস আগে।
বাড়ির মালিক বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। এ অবস্থায় বাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা বিশেষ কিছু বলতে পারেননি।