• সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

নাসার ব্যাখ্যা: ভিনগ্রহের প্রাণীরা কি সত্যিই পৃথিবীতে আসতে পারে?

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩  

ইউএফও বা মহাকাশে উড়ন্ত অজ্ঞাত বস্তু নিয়ে গত শতাব্দী থেকেই চলছে বিজ্ঞানীদের অবিরাম গবেষণা। এই দীর্ঘ সময়ে ইউএফও নিয়ে প্রায় ৮০০টির মতো তথ্য সংগ্রহ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

তবে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে দেখা গেছে, এগুলোর সব ইউএফও ছিল না। বেশিরভাগই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত বস্তু অথবা কোন পরিচিত মহাকাশযান। তবে এরপরেও বেশ কয়েকটি দৃশ্যমান বস্তু নিয়ে রয়েছে সন্দেহের অবকাশ। কারণ সেগুলি আদতে কী, তার উত্তর মেলেনি এখনও।

নাসার গবেষকদের কথায়, ৮০০টির মধ্যে কয়েকটির আসল পরিচয় এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে অজ্ঞাত‌ রয়েছে। গত বছর নাসা অজ্ঞাত বস্তুগুলো নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্যানেল গঠন করে।  অজানা বিস্ময়কর ঘটনার (ইউএপি) ব্যাখ্যা খোঁজাই ছিল ওই প্যানেলের কাজ। সম্প্রতি সেই প্যানেলেরই প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হল।

ওই জনসভায় ইউএফও নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হল। আমেরিকা প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তা সিন কির্কপ্যাট্রিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতি মাসে আমাদের কাছে ইউএফও নিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টির মতো নতুন রিপোর্ট জমা পড়ে। কিন্তু এর মধ্যে সত্যিকারের অজ্ঞাত বস্তুর সংখ্যা খুবই কম। সব মিলিয়ে মাত্র দুই থেকে পাঁচ শতাংশ অজ্ঞাত বস্তুর হদিস মেলে। ‌এই দিন নৌবাহিনী তোলা একটি ভিডিও দেখানো হয়। তাতে দেখা যায়, আকাশের একদিকে পরপর কয়েকটি আলোর বিন্দু। ওই বিন্দুগুলো কীসের, তা জানা যায়নি‌।’

২০২১ সালে পেন্টাগনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে সব মিলিয়ে ১৪৪টি ইউএফওর দেখা মিলেছিল। কিন্তু এর মধ্যে একটি বাদে বাকি কোনোটিরই কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে পেন্টাগনের প্রতিরক্ষার প্রতিবেদনের থেকে অনেকটাই আলাদা নাসার রিপোর্ট। সেখানে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতেই ইউএফও নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটলো।

বিজ্ঞানীদের কথায়, মহাজাগতিক ঘটনাগুলোর বেশিরভাগেরই নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। চার ঘণ্টার ওই সভায় সে তথ্যই বিস্তারিত জানান নাসার গবেষকেরা।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ