শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চোখের পলকে মোবাইল ছিনতাই, খুঁজে পেতে যা করবেন

চোখের পলকে মোবাইল ছিনতাই, খুঁজে পেতে যা করবেন

মানুষ এখন ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সব সময় প্রযুক্তির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেই প্রযুক্তির একটি বড় অংশ হলো স্মার্টফোন। দিনে দিনে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোনের কারণে আমাদের দৈনন্দিন কাজ যেমন সহজ হয়েছে তেমনি কিছু জটিলতারও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফোনটি হারিয়ে বা চুরি-ছিনতাই হলে হেনস্তার মধ্যে পড়তে হচ্ছে ব্যবহারকারীকে।

প্রতিদিন চলন্ত বাসে জানালার পাশে বসা যাত্রীদের টার্গেট করে টান দিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল। দূরপাল্লার বাসগুলো লক্ষ্য করে ছিনতাইকারী চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে জানালার পাশের সিটে বসা যাত্রীর হাতে থাকা মোবাইল নিয়ে ভোঁ দৌড় মারছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ চোরাই চক্র খুবই সক্রিয়।

বাস যখন জ্যামে আটকে থাকে, তারা ওই সময়টুকুতেই ছিনতাইয়ের কাজ চালায়। জানালা খোলা রেখে কেউ মোবাইল টিপলে তাদের হাত থেকে মোবাইল লাফ দিয়ে নিয়ে যায়। সদ্য আমার চোখের সামনে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে।

চলন্ত বাসে হঠাৎ গাড়ির ভেতরে জানালার কাছে বসা ঢাকা ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু আল কাওসার নামে এক যাত্রীর চিৎকার ‘আমার মোবাইল, আমার মোবাইল’। এরপর চালককে বাস থামাতে বলে তড়িঘড়ি করে নেমে গেলেন ওই যাত্রী। তার পাশে থাকা আরেক যাত্রীকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল চলন্ত বাস থেকেই জানালা দিয়ে ওই যাত্রীর হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারী।

ঘটনাটি শুক্রবার বিকালে রাজধানী ঢাকার নিউ মার্কেটে এলাকার। যারা সবসময় গণপরিবহনে যাতায়াত করেন, তাদের কাছে এই এলাকায় এমন ঘটনা নতুন নয়। প্রতিদিন এ রকম যাত্রীরা মোবাইল হারাচ্ছেন। অনেক সময় ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর নিউ মার্কেট, গুলিস্তান, পল্টন ও শাহবাগ এলাকায় দিনে দুপুরে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে মোবাইল ছিনতাই করে বেশ কয়েকটি গ্রুপ। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছিনতাই করা এসব মালামাল গুলিস্তান পাতাল মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেটসহ ওসমানি উদ্যান, ফকিরাপুল এবং পল্টনের বিভিন্ন চোরাই মার্কেটের দোকানগুলোতে সরবরাহ করে। গুলিস্তান পাতাল, সুন্দরবন স্কয়ার ও মোতালিব প্লাজা মার্কেটে ছিনতাই হওয়া এসব মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে তা সুকৌশলে বিক্রি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।

ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে আপনি ফোনের IMEI নম্বর দিয়ে তা খুঁজে পেতে পারেন। এই নম্বরের সাহায্যে সহজেই ফোন ট্র্যাক করা যায়। এ জন্য আপনাকে IMEI ফোন ট্র্যাকার অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন এই অ্যাপ। এবার জানা যাক, IMEI নম্বর জানবেন কীভাবে। যে বাক্সয় ফোন দেওয়া হয়েছে, তাতে ছাপা বার কোডের ওপর লেখা থাকে এই নম্বর। এই নম্বর ১৫ সংখ্যার হয়। কী এই IMEI নম্বর? IMEI-এর ফুল ফর্ম ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি। ১৫ সংখ্যার এই নম্বর ফোনের আইডেন্টিটি সার্টিফিকেট। IMEI নম্বর বদলানো যায় না। তাই কোথাও লিখে রাখুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নম্বর।

আপনি নিজেই যা করবেন

অন্য কোনো স্মার্টফোন বা পিসি থেকে গুগলে ফাইন্ড মাই ফোন (Find my phone) লিখুন।

* গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইনইন করুন। যে ফোন হারিয়েছে, সে ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইনইন করতে হবে।

* গুগল আপনাকে আপনার ডিভাইসের সর্বশেষ অবস্থান জানিয়ে দেবে।

* আপনার ফোনের অবস্থান শনাক্ত হলে আপনি তা দূরে থেকে কল দিতে পারেন। এ জন্য প্লে সাউন্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে। ফোন সাইলেন্ট বা ভাইব্রেট মোডে থাকলেও এতে ৫ মিনিট পূর্ণ ভলিউমে শব্দ হবে। অবশ্য যদি ফোনটি চুরি হয়ে থাকে তবে শব্দ না করে দূর থেকে ফোন লক করে দিতে পারেন।

ফোন লক করতে হলে

আপনি যদি হারানো ফোনটি দূর থেকে লক করতে চান, তবে আপনাকে শুরুতে অন্য ফোন থেকে android.com/find এখানে যেতে হবে। এতে হারানো ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইনইন করতে হবে। আপনি যদি একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন, তবে যে ডিভাইসটি হারিয়েছে, তা নির্বাচন করতে হবে। একাধিক প্রোফাইল থাকলে মূল প্রোফাইল ব্যবহার করে তাতে সাইনইন করতে হবে। ডিভাইস খুঁজে পাওয়া না গেলেও এর সর্বশেষ অবস্থান আপনি জানতে পারবেন।

এখানে আপনি Enable lock & erase অপশনে ক্লিক করে ফোনে লক করে দেওয়ার সুবিধা পাবেন। চাইলে ফোনে আপনার পছন্দের পাসওয়ার্ড, প্যাটার্ন লক দিতে পারবেন। লক স্ক্রিনে বার্তা বা ফোন নম্বর দেখাতে পারবেন। মুছে ফেললে আপনার ডিভাইসে যত ডেটা আছে, তা মুছে যাবে। কিন্তু এসডি কার্ডের তথ্য মুছবে না। তবে তথ্য মুছে দিলে ফাইন্ড মাই ডিভাইস অপশনটি আর কাজ করবে না।

মনে রাখতে হবে, Find my phone অপশনটি কেবল ফোন চালু থাকলে এবং তাতে ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকলে তবেই কাজ করবে। তাই যাঁরা হুটাহাট ফোন হারিয়ে ফেলেন, তাঁরা গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফোনে লগইন করার পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় থাকবেন। লোকেশন ও ফাইন্ড মাই ডিভাইস অপশন চালু রাখবেন।

থানায় যোগাযোগ করে আপনার স্মার্টফোনের যাবতীয় তথ্য, সেটের মডেল নম্বর ও সিমের তথ্য দিয়ে কবে, কখন কীভাবে ফোনটি হারিয়ে গেল, তা বিস্তারিত জানিয়ে জিডিটি করুন। জিডির সময় যে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করতে হবে তা হলো, ফোনটির আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্টেশন ইক্যুপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর বা ফোনের সিরিয়াল নম্বর। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যার মাধ্যম এই নম্বর দিয়ে ফোনটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। অনেক সময় পুলিশ আপনার অভিযোগটি গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছেও হস্তান্তর করতে পারে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই